নিউজ ডেস্ক : অটল বিহারি বাজপেয়ী আমলের অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। শনিবার ডেরেক ও ব্রায়েন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন যশবন্ত সিংহা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের পাশাপাশি প্রতিরক্ষামন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন যশবন্ত।
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন একেবারেই দোড়গোড়ায় এসে উপস্থিত হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস তাদের পুরো প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে। বামদলগুলি এবং বিজেপি তাদের বেশিরভাগ প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেছে। তবে এখনো থামছেনা দলবদল এবং বিভিন্ন দলে যোগদানের পালা। এবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা এবং অটল বিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী ও তুখোড় রাজনীতিবিদ যশবন্ত সিনহা। আজ দুপুরে তৃণমূল কংগ্রেস ভবনের রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।
বহুদিন রাজনীতি থেকে দূরে থাকা যশবন্ত সিনহা বারবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ভারতের গণতন্ত্রের ক্ষতি সাধনের জন্য। আজও তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদানের পর সাংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি এতদিন রাজনীতি থেকে দূরে থাকার পর আজ রাজনীতিতে ফিরে এসেছি তার কারণ আমরা এতদিন যে সমস্ত মূল্যবোধ সম্মান এবং গৌরবের সঙ্গে মেনেছিলাম এবং মেনে চলছিলাম যেগুলো সবাই সম্মান করে সেগুলি আজ বিপদে। প্রজাতন্ত্রের মূল শক্তি তার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু আজ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিরপেক্ষতা হারিয়েছে তাই আমি আজ রাজনীতিতে প্রবেশ করতে বাধ্য হচ্ছি। স্বাভাবিকভাবেই তিনি ভারতের নির্বাচন কমিশন সিবিআই এন আই এ এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের জন্য এবং বিজেপির রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কাজ করছে তার বিরুদ্ধেই কথা বলেছেন। কেন্দ্র সরকার যেভাবে কোটি কোটি কৃষকের আওয়াজ না শুনে কিছু কর্পোরেট জগতের পুঁজিপতিদের সাহায্য করার জন্য কৃষি বিল প্রণয়ন করেছে এবং আড়াই মাস পার হয়ে গেলেও কৃষক আন্দোলনকে উপেক্ষা করে নিজেদের একরোখা অনড় অবস্থান বজায় রেখেছে তার বিরুদ্ধেও তিনি সরব হয়েছেন।