নিউজ ডেস্ক : ক্ষমতায় আসার পর থেকে বারবার ভারতের সংখ্যাগুরু হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাবাবেগকে নিয়ে নাড়াচাড়া করার প্রবণতা দেখা গিয়েছে বর্তমান ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপিকে। আর তারই ধারাবাহিকতায় সবথেকে বড় পদক্ষেপ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। মোদি সরকারের তরফ থেকে যুক্তি দিয়ে বলা হয় মুসলিম ছাড়া বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মতো মুসলিম প্রধান দেশ থেকে যে কোনো সংখ্যালঘু মানুষ ভারতবর্ষে আসলে তাদেরকে দেয়া হবে নাগরিকত্ব। কিন্তু আদতে এই আইনের ফলে কতটুকু উপকৃত হতে চলেছেন এই প্রতিবেশী মুসলিম প্রধান দেশের সংখ্যালঘুরা উঠছে প্রশ্ন। গত বছরের আগস্ট মাসে ভারতের যোধপুরে পাকিস্তান থেকে আসা ১১ টি হিন্দু সম্প্রদায়ের অনুসারীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এবার তারই প্রতিবাদে সোচ্চার হলো পাকিস্তানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে প্রতিবাদ মিছিল আয়োজন করে তারা স্মারকলিপি জমা দেন। তারা ওই ঘটনার উল্লেখ করে বলেছেন, এখনো পর্যন্ত ঘটনাটিতে কোনো চার্জশিট দাখিল করা হয়নি, না হয়েছে কোনো সুষ্ঠু তদন্ত।
এছাড়া তাদের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে ভারতের গুপ্তচর সংস্থা ‘র’ হত্যাকান্ডের পিছনে রয়েছে। তারা ওই মৃতদের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এখনো পর্যন্ত তাদেরকে দেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন। প্রতিবাদকারীরা ঘটনাটির আবার নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ভারতের মোদি সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। তাদের তরফ থেকে ভারতীয় হাইকমিশনে এবং পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকে পৃথক পৃথকভাবে স্মারকলিপি জমা দেয়া হয়। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশী জানিয়েছেন, “পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা এবং অধিকার নিশ্চিত কিন্তু ভারতের সংখ্যালঘুদের কোন নিরাপত্তা নেই। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করার জন্য সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।” উল্লেখ্য গত বছর পাকিস্তানের ইমরান খান সরকারের মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী মাঝারি রাষ্ট্রসংঘকে লেখা এক চিঠিতে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন।