সাইফুল্লা লস্কর : গত রবিবার উত্তরপ্রদেশের বাদাউনে এক মন্দিরে ৫০ বছর বয়সী এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর গণধর্ষণে নির্যাতিতাকেই দোষী সাব্যস্ত করল জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য। গত রবিবার বাঁধনের এক মন্দিরের প্রধান পুরোহিত এবং তার দুই সঙ্গীর মিলে ৫০ বছর বয়সী মহিলাকে ধর্ষণের পারমাণবিক শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করে। কিন্তু গতকাল জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য চন্দ্রমুখি দাবি জানিয়েছেন, এমন ঘটনা কখনোই ঘটতো না যদি ওই মহিলা কোন পুরুষ সঙ্গী ছাড়া বাড়ির বাইরে না যেত। তিনি আরো উপদেশ দিয়ে বলেন, “কারো প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে কখনোই কোনো মহিলার সঙ্গী ছাড়া বাইরে যাওয়া উচিত নয়।” তারই মন্তব্যে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সারা দেশজুড়ে।
উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ক্রমাগত ধর্ষণের মতো সামাজিক অপরাধের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কয়েক মাস আগে হাথরাশে এক আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। এবার আবার দেখা গেল মন্দিরের মতো ধর্মীয় দৃষ্টিতে পবিত্র জায়গায় এই অপরাধের ছায়া। তাও আবার মন্দিরের প্রধান পুরোহিত এর সৌজন্যে এই অপরাধ সংঘটিত হলো। তবে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি ধর্ষকদের বিরুদ্ধে। চন্দ্রমুখি দেবী জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফ থেকে জানিয়েছেন মহিলা কমিশন এই ঘটনায় উত্তর প্রদেশ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আদৌ সন্তুষ্ট নয়।