প্রেমে পড়া কোনো ব্যক্তিকে শাস্তি দেয়া দণ্ডনীয় অপরাধ : সুপ্রিম কোর্ট

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

sc

প্রেমাসক্ত বা প্রণয়াসিক্ত একজন ব্যক্তি কে শাস্তি দেওয়া জঘন্যতম অপরাধ বলে ঘোষণা দেন সুপ্রিম কোর্ট। শুধু অপরাধই নয়! বরং

চুরি, ডাকাতি, এমনকি ধর্ষণের থেকেও বড় এবং জঘন্যতম অপরাধ বলে বিবেচনা করেছেন শীর্ষ আদালত। কারো প্রেমে আসক্ত হয়ে তার সহচার্যে বসবাস করতে চাওয়া কোন অপরাধ নয়, বলেও ঘোষণা দিলেন উচ্চ আদালত।

ঘটনার উৎস বলে মনে করা হচ্ছে, ১৯৯১ সালে সংঘটিত হওয়া একটি দুঃস্বপ্ন ও ভয়ঙ্করতর এক প্রেমকাহিনীকে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট ১১ জনের জামিন মঞ্জুরের একটি আবেদনের শুনানি করে। আর সেখানেই এই ঘোষণা বলে মনে করা হচ্ছে।

ঘটনাটি কিছুটা এমন, প্রেমে পড়া তিনজন ছেলে – মেয়েকে ফাঁসি দিয়ে ছিল উত্তরপ্রদেশের মথুরা জেলার ‘খাপ’ পঞ্চায়েত। জানা যায়, একটি মেয়ে তার পছন্দ হওয়া একটি ছেলে ও তাঁকে সাহায্য করা এক যুবকের সাথে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে খাপ পঞ্চায়েতে অনুষ্ঠিত বিচার অধিবেশনে মেয়েটি বিষয়টি স্বীকার করেন যে, সে ছেলেটির সাথে জীবন যাপন করতে আগ্রহী। কিন্তু, একথা শোনা মাত্রই খাপ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রবীণ লোকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে যান। এবং তাদেরকে তাদের মা-বাবার হাত দিয়েই ফাঁসির আদেশ দেন। শুধু এটুকুই নয়! ফাঁসির আগে ছেলেগুলো কে মারধর ও নির্যাতনের সাথে সাথে তাদের যৌনাঙ্গও পুড়িয়ে দেয়া হয়।

খাপ পঞ্চায়েতের এই জঘন্য কার্যকলাপের জন্য বিষয়টি ওঠে এলাহাবাদ হাইকোর্টে। ২০১৬ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট এই ঘটনাকে জঘন্য অপরাধ বলে বিবেচনা করায়, ৩৩ জন ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে।
পরবর্তীতে, মামলার সত্যতা বিচার করে ভারতের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে
মন্তব্য করেন, এ জাতীয় ঘটনা জঘন্যতম অপরাধ।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর