ডোমকল : গ্রামীণ মহিলাদের অর্থনৈতিক ভাবে স্বনির্ভর করতে ‘নাবার্ড’ এর উদ্যোগে ছাগল পালনে উৎসাহ প্রদান ডোমকল মহকুমায়। শুক্রবার ডোমকলের দাসপাড়া ও শেখপাড়া এলাকায় কয়েকটি ছাগল পালনের জন্য তৈরী ঘর দেখলেন নাবার্ডের ডিডিএম, ব্লক পশু পালন আধিকারিক গৌরব সামন্ত সহ অনেকে।
ডিডিএম নাবার্ড জানান “ বেলডাঙ্গা মাড্ডা সোসাল ওয়েল ফেয়ার সোসাইটির সভাপতি গোপীনাথ মুখোপাধ্যায়ের ব্যাবস্থাপনায় গ্রামের মহিলাদের নিয়ে গোষ্ঠী তৈরী করা হয়েছে। যাদের ব্যাবস্থাপনায় ও পশুপালন আধিকারিকের সহযোগিতায় ছাগল পালনে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তার পরেই ওই সব মহিলাদের হাতে ব্যাঙ্ক ঋণ তুলে দেওয়া হয়েছে।”
দেখাগেল ছাগল পালনের জন্য মেয়েরা বাড়িতে অথবা বাগানে বাঁশের মাচা করে ঘর করেছে। সেগুলো কেমন হয়েছে তা সরজমিনে দেখার পরেই নাবার্ড ডিডিএম মহিলাদের হাতে শুক্রবার ফের টাকার জন্য এ্যালোট ফর্ম তুলে দেন। জানা গিয়েছে ওয়েলফেয়ার সংস্থা মাড্ডা’র উদ্যোগে রানিনগর ১ ও ২ ব্লক এবং ডোমকল পুরসভা ও ব্লক ধরে মোট ১৫০ জন মহিলাকে ছাগল পালনের জন্য এক লক্ষ করে দেড় কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হল। নাবার্ডের ডিডিএম জানান এদের কাজ সফল হলে মানুষের মধ্যে চাহিদা বাড়বে। তখন আমরা আরও উদ্যোগী মহিলাদের ঋণ দেওয়া হবে।
ডোমকলের পশু চিকিৎসা আধিকারিক গৌরব সামন্ত জানান, “ ছাগ পালনের জন্য মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরী করা হয়েছে। আমরা চাই মেয়েরা ছাগল পালনের মধ্য দিয়ে তাদের নিজেদের অর্থনৈতিক ভাবে স্বনির্ভর হয়ে উঠুন। পাশাপাশি বাজারেও তারা মাংসের জোগানদার হয়ে উঠুক।” মাড্ডার সভাপতি জানান গ্রামীণ মহিলাদের আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর করে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। তার লক্ষ্যেই আমরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে গোষ্ঠী তৈরী করে প্রশিক্ষণ দিয়েছি।” ডোমকল দাসপাড়ার রাখী দাস ও শেখপাড়ার মমতা বিবি জানান “ আগে বাড়িতে ছাগল পুষেছি কিন্তু এত ঝক্কি শামলাতে হয়নি। এবার যা বুঝলাম ছাগলপালনে অনেক কিছু জানার আছে। আর সময়ে সময়ে তা পালন করলে ছাগল পালন করেও সংসারের আয় উন্নতিতে সহযোগীতা করা যায়। সেই লক্ষ নিয়েই ব্যাঙ্ক ঋণ নিতে উদ্যোগী হয়েছি।”