
পহেলগাঁও হামলার বিরুদ্ধে সারা দেশ জুড়ে ক্ষোভে ফুঁসছে মানুষ। ইতিমধ্যেই প্রতিক্রিয়ায় মাঠে নেমেছে ভারতীয় সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী। কাশ্মীর উপত্যকায় চলছে তল্লাশি ও জঙ্গি দমন অভিযান। সেই প্রেক্ষিতে, অনন্তনাগ ও পুলওয়ামায় বিস্ফোরণের মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত দুই জঙ্গির বাড়ি। হামলার ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই বান্দিপোরায় সেনা অভিযানে লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ জঙ্গি আলতাফ লাল্লিকে খতম করে বড় সাফল্য পেয়েছে সেনা। গুলির লড়াইয়ে আহত হয়েছেন দুই সেনা জওয়ানও।
এরই মধ্যে ভারতীয় নৌসেনা সামাজিক মাধ্যমে শক্তির বার্তা দিয়ে জানিয়েছে— ‘ঐক্যই শক্তি। আমরা সর্বদা প্রস্তুত— যেকোনও স্থানে, যেকোনও সময়ে।’ এই বার্তায় স্পষ্ট, দেশ যে কোনও পরিস্থিতিতে পালটা জবাব দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
পাক সীমান্তের নিকটবর্তী বিকানের অঞ্চলে পরিদর্শনে যান বিএসএফ-এর আইজি। ভারতীয় সেনার তরফ থেকে প্রকাশিত নতুন শক্তিপ্রদর্শনের ভিডিও সাড়া ফেলেছে। রাজস্থানের থর মরুভূমিতে সামরিক মহড়ায় অংশ নেয় একাধিক ট্যাঙ্ক, হেলিকপ্টার এবং প্যারা কমান্ডোরা। একটানা গোলাবর্ষণে প্রকম্পিত মরু অঞ্চলে যেন প্রতিধ্বনিত হয় ‘সপ্তশক্তি’র গর্জন।
সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী কাশ্মীরে গিয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। সেনা ও পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এছাড়াও, উপত্যকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর ও ডিজিপির সঙ্গে।
এই ঘটনায় দেশের বাইরেও প্রতিবাদের সুর ওঠে। লন্ডনে পাকিস্তান হাই কমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেন প্রবাসী ভারতীয়রা। ‘ভারত মাতা কি জয়’ ধ্বনিতে মুখরিত হয় এলাকা। হাতে জাতীয় পতাকা ও ‘হিন্দু লিভস ম্যাটার’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাবি ওঠে— সন্ত্রাসবাদের শেষ হোক। ভারতীয় হাই কমিশনের পক্ষ থেকেও নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
পহেলগাঁওর নৃশংস হত্যাকাণ্ড যেন ঘুম কেড়ে নিয়েছে গোটা জাতির। তবে একথা স্পষ্ট— ভারত এখন প্রস্তুত, জবাব দিতেই।