এনবিটিভি ডেক্স: মঙ্গলবারই সংসদে প্রশ্ন উঠেছিল, সরকারের কাছে যখন করোনা মোকাবিলা ও লকডাউনের ধাক্কায় কাজহারা পরিযায়ী শ্রমিকদের সুরাহা দেওয়ার টাকা নেই, তখন ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে নরেন্দ্র মোদী দিল্লির রাজপথের দু’পাশের এলাকা ঢেলে সাজাতে চলেছেন কেন!
প্রশ্ন সত্ত্বেও মোদী সরকার যে এই প্রকল্প থেকে পিছু হঠছে না, তা বুঝিয়ে আজ কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতর নতুন সংসদ ভবন তৈরির দরপত্র খুলে ফেলল। ৮৬১.৯০ কোটি টাকার দর হেঁকে টাটা গোষ্ঠীর টাটা প্রজেক্টস সংস্থা এই বরাত জিতে নিল। সামান্য বেশি, ৮৬৫ কোটি টাকার দর হাঁকায় পিছিয়ে পড়ল লারসেন অ্যান্ড টুবরো।
পুরনো সংসদ ভবনের পাশেই প্রায় ৯.৫ একর জমিতে তিনকোণা নতুন সংসদ ভবন তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। ৮৬১.৯০ কোটি টাকা খরচে এই নতুন সংসদ ভবনের লোকসভায় অন্তত ৯০০ জনের বসার ব্যবস্থা থাকবে। যৌথ অধিবেশনে ১৩৫০ জন বসতে পারবেন। এখন লোকসভার সদস্য সংখ্যা ৫৪৩ জন। জনসংখ্যার সঙ্গে লোকসভার আসন সংখ্যা বাড়ার কথা থাকলেও, ১৯৭১-এর জনগণনার পর থেকে কার্যত লোকসভার সদস্য সংখ্যা একই রয়েছে। দক্ষিণ ভারতের যে সব রাজ্য জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রেখেছে, তাদের সাংসদ কমে গেলে ওই রাজ্যগুলিকে বঞ্চিত করা হবে ভেবে প্রথমে ২০০১ পর্যন্ত লোকসভার আসন অপরিবর্তিত রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তার পরে এই সিদ্ধান্তের মেয়াদ ২০২৬ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তত দিনে সব রাজ্যেই জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সমান হবে বলে অনুমান। সে ক্ষেত্রে ২০২৬-এর পরে জনসংখ্যার নিরিখে লোকসভার আসন বাড়ানো হতে পারে।