নিউজ ডেস্ক : বিতর্কিত জাতীয় কৃষি বিলের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করাতে ২৩ শে ডিসেম্বর থেকে বিশেষ অধিবেশন ডাকার সুপারিশ জানিয়েছিলেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খান। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সুপারিশকে প্রত্যাখ্যান করে রাজ্যপাল বিশেষ অধিবেশন ডাকার হেতু জানতে চেয়েছেন। রাজ্য সরকার তার জবাব দিয়েছেন। রাজ্য সরকার তাদের জবাবে জানিয়েছেন, যেকোনো জনস্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়ে আলোচনা করার অধিকার বিধানসভার আছে। তারা আরও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে বিধানসভার অধিবেশন মূলত রাজ্য সরকারের সম্মতিতেই আহ্বান করার হয়।
মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন, ” এটা দুঃখজনক যে একটা দলের বিধানসভায় সুস্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও রাজ্যপাল তাদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার সুপারিশ কে অগ্রাহ্য করলেন বিশেষ করে তখন যখন এমন অধিবেশন ডাকার এক্তিয়ার রাজ্যপালে ক্ষমতার বাইরে পড়ে।”
রাজার কংগ্রেস নেতা রমেশ ছেন্নিথালা রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তকে অগ্রহণযোগ্য এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী বলে আখ্যায়িত করেছেন। অন্যদিকে বিজেপি নেতৃত্ব এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন সংসদে পাস হওয়া একটি বিলের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পাস করা রাজ্য বিধানসভার এক্তিয়ারভুক্ত নয়।
এদিকে রাজভবনের বিরুদ্ধে রাজ্যের যুব কংগ্রেসের এক মিছিল কেরালার পুলিশ থামিয়ে দিয়েছে জল কামান ব্যাবহার করে। রাজ্য বিধানসভার পরবর্তী অধিবেশন ৮ ই জানুয়ারি থেকে ২৮ শে জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বা রাজ্যের বিজেপির স্বার্থ রক্ষা করতে বর্তমানে বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্যপাল দের সচেষ্ট হতে দেখা যায়। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর, কর্নাটকের রাজ্যপাল বিজু ভাই বালা, এবং মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিংকে কেশোরিকে। সংবিধান অনুযায়ী সাদা নিরপেক্ষ রাজ্য পালের পদ। কিন্তু বর্তমানে রাজ্যপালদের এমন ব্যাবহার তাদের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতার ওপর প্রশ্ন চিহ্ন তুলে দেয়।