
- জাতীয় উৎপাদন মিশন ও আয়কর আইনে পরিবর্তন: ২০২৫ সালের বাজেটে জাতীয় উৎপাদন মিশন এবং আয়কর আইনে পরিবর্তন আনার ঘোষণা করা হয়েছে।
- মধ্যবিত্তদের জন্য এক লাখ কোটি টাকা: অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, মোদি সরকারের সংস্কারের মাধ্যমে এক লাখ কোটি টাকা মধ্যবিত্তদের হাতে পৌঁছাবে। তবে, মধ্যবিত্তরা বাজেট নিয়ে তেমন খুশি নয়।
- অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ ও চাপ: কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ সরকারকে চাপের মধ্যে ফেলেছে। বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়নি এবং সরকারি ব্যয় কমে গেছে, যার ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে।

- মূলধনী ব্যয় কমানো: এবারের বাজেটে মূলধনী ব্যয় আরও কমানো হয়েছে, যা অর্থনীতির জন্য হতাশাজনক হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
- বেকারত্ব বৃদ্ধি ও মজুরি স্থির: বেকারত্ব বেড়েছে এবং মজুরি প্রায় একই স্তানে থেমে আছে, যার ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে গেছে।
- ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা: প্রধানমন্ত্রী ভারতের অর্থনীতিকে বিশ্বের দ্রুততম বৃদ্ধি পাওয়া অর্থনীতি হিসেবে উপস্থাপন করলেও বাস্তবতায় তা সঠিক নয়। সরকার যে অর্থনৈতিক সাফল্য দাবি করছে, তা বাস্তব অবস্থার সঙ্গে মিলছে না।
- রাজ্যে মজুরি ও করছাড়ের বিষয়: দেশের অধিকাংশ রাজ্যে মজুরি জাতীয় ন্যূনতম স্তরের নিচে, যা সরকার নির্ধারণ করে। বাজেটে যে করছাড় দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
- পেট্রোল ও ডিজেলের শুল্ক: পেট্রোল ও ডিজেলের উপর উচ্চ শুল্ক কমালে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়তো এবং খরচ বাড়তো। তবে, সরকার জিএসটি সহজ করা এবং মজুরি বাড়ানোর মতো পদক্ষেপ নেয়ার পরিবর্তে করছাড় দিয়েছে।

- শিল্পখাতের অবস্থা: গত তিন দশকে ভারতের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে, কিন্তু শিল্পখাত তেমন এগোয়নি। ভারতের প্রবৃদ্ধি মূলত পরিষেবা খাতের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে, যার ফলে রপ্তানি খাত দুর্বল হয়ে পড়েছে।
- করোনা পরবর্তী উন্নতি: কোভিড পরবর্তী সময়ে শিল্পখাতের অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি এবং তা এখনও সংকটপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
- বাজেটের সমালোচনা: একটি বাজেট কখনোই এককভাবে বিচার করা যায় না, তবে সরকার ও অর্থনীতির নীতির অংশ হিসেবে এই বাজেট ভারতের অর্থনীতি এবং সাধারণ মানুষের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
এই সব দিক থেকে, বাজেটের বিভিন্ন দিকগুলো দেশের অর্থনীতির জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।