নিউজ ডেস্ক : করোনা কিট দুর্নীতি। করোনাভাইরাসের পরীক্ষার জন্য এক একটি কিটের দাম ৪০০ টাকা নির্দিষ্ট করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। সোমবারই বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য এই রায় দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। বর্তমান পরিস্থিতিতে এক একটি কিটের দাম ৬০০ টাকা করে নেওয়া অনুচিত বলে মন্তব্য করেছে আদালত। দিল্লি হাইকোর্ট জানায়, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত লাভের থেকে জনস্বার্থ দেখা অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। সেই কারণে অতিরিক্ত মুনাফা করার প্রবণতা এই সময় ছাড়তেই হবে। করোনা পরীক্ষার জন্য এক একটি কিটের দাম যেন জিএসটি নিয়ে ৪০০ টাকা না ছাড়ায়।’
দিল্লি হাইকোর্টের হিসেবে করোনা পরীক্ষার জন্য এক একটি কিটের ল্যান্ডেড কস্ট প্রাইস ২৪৫ টাকা। তার ওপরে ১৫৫ টাকা লাভ থাকলে ৬১ শতাংশ লাভ হয়। সেই কারণে ৪০০ টাকায় কিট বিক্রি করা লাভজনক বলে জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। তার বেশি দাম নেওয়া অনুচিত বলে মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট।
সোমবার এক টুইটে কংগ্রেস নেতা বলেন, “যখন গোটা দেশ মহামারির বিরুদ্ধে লড়ছে, তখনও গোটা এই লোকগুলো মুনাফা কামাতে ভুল করে না। এই দুর্নীতিগ্রস্ত মানসিকতার জন্য আমরা লজ্জিত। এদের দেখলে ঘৃণা হয়। আমার প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন, এই মুনাফাখোরদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করা হোক। দেশ কোনওদিন এদের ক্ষমা করবে না।” তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও সরব হয়েছেন এই ইস্যুতে। তাঁর আবার সরাসরি অভিযোগ মোদি-শাহের দিকে। তৃণমূল সাংসদ বলছেন, “গুজরাটি ব্যবসার বুদ্ধিতেই ২৪৫ টাকার কিট ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তারপর রাজ্যগুলিকে দোষ দেওয়া হচ্ছে পরীক্ষা না করানোর জন্য। মোদি-শাহের বুদ্ধি প্রশংসার দাবি রাখে।”