সংক্রমণ রোধে ফের জারি হতে পারে লকডাউন?

ক্রমশ ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। শুক্রবারই নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭,৮২৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ২১২ জনের। গত বছর মহামারী ঘোষণার পর থেকে একদিনে করোনায় এই বৃদ্ধি সর্বাধিক। সংক্রমণ রোধে কি তাহলে ফের মহারাষ্ট্রে জারি হতে পারে লকডাউন? সেই সম্ভাবনাই ক্রমশ প্রকট হচ্ছে।
আগামী দু’দিনের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ফের মহারাষ্ট্রে লকডাউন হতে পারে বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তিনি বলেন, ‘‌আমি লকডাউনের সতর্কতা দিচ্ছি। আগামী দু’দিন আমি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করবো। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিতে পারে। সেই আশঙ্কা সত্যি হলে এবং বিকল্প না থাকলে লকডাউনের পথেই হাঁটতে হতে পারে। আগামী দু’‌দিনে সেই সিদ্ধান্ত নেব।’‌ তিনি এও বলেন, ‘‌আমি জানি যে লকডাউন ক্ষতিকর। কিন্তু এর থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ মানুষের প্রাণ।’‌
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের বড় বেশ কয়েকটি জেলায় নাইট কার্ফু চালু হয়েছে। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত জরুরি পরিষেবা ছাড়া সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ, শপিং মল বন্ধের রাখার নির্দেশ দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। ফের সম্পূর্ণ লকডাউন এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য রাজ্যের সব প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সর্বাধিক ৫ জনের বেশি কোথাও জমায়েত করা যাবে না বলে নির্দেশিকা জারি করেছে হারাষ্ট্র সরকার। পাশাপাশি সমস্ত ধর্মীয়, রাজনৈতিক জমায়েতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। করোনার চেন ভাঙতে রাজ্যবাসীকে বারংবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, দূরত্ববিধি বজায় রাখা, মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী।
লকডাউনের বিরোধিতা করায় এদিন তোপও দেগেছেন ঠাকরে। তাঁর কথায়, ‘যাঁরা রাস্তায় নামবেন বলছেন তাদের অবশ্যই রাস্তায় নামা উচিত। তবে লকডাউনের বিরুদ্ধে নয়, বরং লকডাউন এড়াতে, চিকিত্‍সকদের সহায়তা করার জন্য, যাঁদের জীবিকা প্রশ্নের মুখে তাঁদের পরিবারকে সহায়তার জন্য, সংক্রামিতদের সেবা করতে এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য। ওড়িশার দশ জেলাতেও কার্ফু জারি করা হয়েছে। তবে প্রশ্ন একটাই, যেভাবে করোনার সংক্রমণ দিনে দিনে বাড়ছে তবে মহারাষ্ট্র তো বটেই দেশেও জারি হতে পারে লকডাউন। সম্ভাবনা এড়ানো যাচ্ছে না।

Latest articles

Related articles