এনবিটিভি ডেস্ক, সফিকুল আলম,মালদা,১৯ সেপ্টেম্বর : মালদহের চাঁচলে কিশোরীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনায় অভিযুক্ত যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করল। উল্লেখ্য গত ৯ অগস্ট রবিবার দুপুরে শোওয়ার ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় কিশোরী মাম্পি ঘোষের(১৭)। সে এবছর মাধ্যমিক পাশ করেছিল। মাম্পির দেহের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার হয়। তাতে মৃত্যুর জন্য বিশ্বজিৎ ঘোষ নামে রতুয়ার ভাদো এলাকার এক যুবককে দায়ী করার পাশাপাশি তার যেন কঠোর শাস্তি হয় তাও চিরকুটে লেখা ছিল। কিন্তু ওই দিন থেকেই গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত যুবক। তাকে ধরতে পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ তুলে প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। পরে সাংসদের নেতৃত্বে থানায় যান একদল প্রতিনিধি। কিন্তু অভিযুক্তের হদিশ মেলেনি। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ মূল অভিযুক্তের বাবা উদয় ঘোষকে আগেই গ্রেফতার করেছিল। তারপর বৃহস্পতিবার রাতে চাঁচলের দেবীগঞ্জে মামাবাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় বিশ্বজিতকে। এদিন চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলার পর তাকে তিনদিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তবে হাসপাতাল থেকে আদালতে যাওয়ার সময় নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে অভিযুক্ত বিশ্বজিত। চাঁচলের এডসিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, জিঙ্গাসাবাদের জন্য ধৃত বিশ্বজিতকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাম্পির সঙ্গে বিশ্বজিতের আগে থেকে পরিচয় ছিল। তাদের মধ্যে প্রমের সম্পর্ক ছিল বলেও পুলিশের সন্দেহ। ৯ অাগস্ট বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পরেই শোওয়ার ঘরে ঢুকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মাম্পি। চিরকুটে বিশ্বজিততে দায়ী করায় তার বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার মামলা করে পুলিশ। কিন্তু একাধিকবার তাকে ধরতে তল্লাশি চালানো হলেও সে অধরাই ছিল। অভিযুক্ততে গ্রেফতারের দাবিতে একাধিকবার বিক্ষোভও হয় চাঁচলে। এদিন সে গ্রেফতার হওয়ায় সকলেই স্বস্তিতে। মহিলা মোর্চার মালদহের সহ সভাপতি অনিন্দিতা প্রামানিক বলেন, দেরীতে হলেও ওকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ওর জন্য অকালে এক কিশোরীকে প্রাণ দিতে হয়েছে। ওর কঠোর শাস্তির দাবি করছি।