নিউজ ডেস্ক : মালদা জেলা পরিষদ তৃণমূলের হাত থেকে বিজেপির হাতে গিয়েছিল বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে হওয়া দল বদলের হওয়ায়। এবার আবার তা দখল করতে উদ্যোগ নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। জেলা পরিষদের সভাধিপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে চলেছে মালদা তৃণমূল কংগ্রেস। আজ বুধবার ১৬ জুন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মন্ডলের বিরুদ্ধে এই অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা হবে বলে জানিয়েছেন মালদা তৃণমূলের সভাপতি মৌসম বেনজির নূর। তিনি বলেন, মালদা ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে এই প্রস্তাব পেশ করা হবে। এই মুহূর্তে ৩৭ জন সদস্যের মধ্যে আমাদের সঙ্গে আছেন ২৩ জন যেখানে জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৯ জন সদস্য।
যদিও এই অনাস্থা প্রস্তাব ঘিরে মালদা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল ফের চাগাড় দিয়ে উঠেছে। জেলার তৃণমূলের চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, জেলায় আমাকে এবিষয়ে দলের পক্ষ থেকে কেউ কিছু বলেনি। তবে একটা কথা বলতে পারি, শুধু গৌরচন্দ্র মন্ডলই নয়। দলের থেকে এত সম্মান পাওয়ার পরেও এই জেলায় যে বা যারা ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে মমতা ব্যানার্জীকে দুর্বল করতে গেছিলেন তাঁদের সকলের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়ার পরেই মালদা সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে। তৃণমূল থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদ সভাধিপতি গৌরচন্দ্র আরও কয়েকজনকে নিয়ে যোগ দেন বিজেপিতে। এই দলত্যাগীদের মধ্যে ছিলেন জেলা পরিষদের আরেক কর্মাধ্যক্ষ সরলা মুর্মু। যিনি হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রে টিকিট পাওয়ার পরেও মালদা বিধানসভার টিকিট না পাওয়ায় অভিযোগে দলত্যাগ করেন। তৃণমূল হবিবপুরে আরেকজনকে প্রার্থী করলেও শেষপর্যন্ত হেরে যায়। ফলে দলে সরলা আরও বিরাগভাজন হয়ে পড়েন। যদিও জানা গেছে, অনাস্থা এলে সরলা তৃণমূলকেই সমর্থন করবেন বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি তৃণমূলে ফিরতে চেয়েও ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি বসে বার তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে চিঠি লিখেছেন তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে।
অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে জেলা পরিষদের তাদের দখলেই থাকবে। জেলা বিজেপির সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মন্ডল বলেন, জেলা পরিষদ ধরে রাখতে গেলে যতজন সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন হয় সেটা আমাদের সঙ্গে আছে। আমরাই জয়ী হব। তবে দলবদলের যে হাওয়া বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে দেখা গিয়েছিল এখন ঠিক তার উল্টো দিশায় বইছে হওয়া। তাই মালদা জেলা পরিষদ আবার ঘাসফুলের হাতে আসলে তাতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই।