
নব্বইয়ের দশকের গ্ল্যামার কন্যা, বলিউডের প্রাক্তন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি ফের আলোচনার কেন্দ্রে। অভিনয় জগৎ থেকে বহুদিন আগেই সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি সন্ন্যাসিনী জীবন যাপন করছেন এবং কখনও মহামণ্ডলেশ্বর উপাধি নিয়ে, কখনও বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে উঠে আসছেন।
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে মমতা কুলকার্নি পাকিস্তান ও মুসলিম সমাজ নিয়ে মন্তব্য করে নয়া বিতর্ক উসকে দেন। তাঁর বক্তব্য, “মুসলমানদের আমি ভালবাসি, কিন্তু আতঙ্কবাদীদের নয়।” তিনি জানান, যখন তিনি দুবাইতে ছিলেন, তখন মুসলিম সমাজ তাঁকে অনেক স্নেহ ও ভালোবাসা দিয়েছে। এমনকি বলিউডের সুপারস্টার থাকাকালীন তাঁর কাছে প্রতিদিন গড়ে ৫০টি করে চিঠি পাকিস্তান থেকেই আসত।
তাঁর কথায়, “পাকিস্তানের মানুষেরা আমায় ভালবাসেন, তবে সন্ত্রাসবাদীরা কারোর হয় না—না স্বামী, না পিতা, না সন্তান। ওদের কোনও পরিচয়ই নেই, শুধু সন্ত্রাসবাদী বলেই পরিচিত।” এই বক্তব্যে তিনি যেমন ভালোবাসা ও মানবিকতার বার্তা দিয়েছেন, তেমনি সন্ত্রাসবাদের প্রতি কঠোর অবস্থানও স্পষ্ট করেছেন।
এর আগে মমতা কুলকার্নি ‘মহামণ্ডলেশ্বর’ উপাধি লাভ করলেও তা ঘিরে আখড়া রাজনীতির কারণে বিতর্ক শুরু হয়। শেষে তিনি নিজেই সেই উপাধি ত্যাগ করেন। তখন তিনি বলেছিলেন, “আমি ২৫ বছর সাধনা করেছি। কোনও হিমালয়, কোনও কৈলাস নয়—আমার গুরুই আমার ঈশ্বর। গায়েব হয়ে গিয়েছিলাম বলিউডের লাইমলাইট থেকে, কিন্তু তা আমার নিজস্ব সিদ্ধান্ত ছিল। ঈশ্বর অলঙ্কারেই ঈশ্বর হন—এই বিশ্বাস নিয়েই আমি সাধ্বীর জীবন বেছে নিয়েছি।”
মমতা কুলকার্নির এইসব মন্তব্য নতুন করে তাঁকে সংবাদ শিরোনামে এনেছে। তাঁর জীবনের এই রূপান্তর যেমন বিস্ময় সৃষ্টি করছে, তেমনি তাঁর স্পষ্টবাদিতা ও বিতর্কিত বক্তব্যও বারবার আলোচনার খোরাক হয়ে উঠছে।