
জম্মু-কাশ্মীর, ২৩ মে (স্থানীয় প্রতিবেদন): গোয়েন্দা মারফত গোপন তথ্যের ভিত্তিতে চালানো অভিযানে বৃহস্পতিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুর জেলার বাসন্তগড় এলাকায় সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনীর সাথে সন্ত্রাসীদের গুলিবিনিময়ে এক সেনা জওয়ান প্রাণ হারান। এই ঘটনার দু’দিন আগেই পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৫ পর্যটক ও এক স্থানীয় মুসলিম ঘোড়া চালকের মৃত্যু হয়।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়, “গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উধমপুরের বাসন্তগড়ে যৌথ অভিযান চালানো হয়। সন্ত্রাসীদের সাথে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ৬ পারা স্পেশাল ফোর্সের হাবিলদার ঝান্তু আলী শেখ গুরুতরভাবে আহত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।” ঝান্তু আলী শেখ ইলিট স্পেশাল ফোর্স ইউনিটের সদস্য ছিলেন।
এর আগে বুধবার উত্তর কাশ্মীরের বারামুলা জেলার উরি সেক্টরে একটি খাল পথে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকারী দুই সন্ত্রাসীকে গুলি করে নিহত করে সেনা। সেনা সূত্রে জানানো হয়, অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে তারা গুলি ছোড়ে, যার জবাবে সেনাও পাল্টা ব্যবস্থা নেয়।
গত মঙ্গলবার পাহালগামে রক্তক্ষয়ী হামলার পর থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এই হামলায় পাকিস্তানের সমর্থন থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে। এনিয়ে আজ সন্ধ্যায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সকল দলের বৈঠক, যেখানে হামলার তদন্তের অগ্রগতি ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে।
সরকারি সূত্র মতে, পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে সমর্থনপুষ্ট গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা বৃদ্ধির ফলেই সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো ঘটছে। নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি রাজনৈতিক স্তরেও জোরালো পদক্ষেপের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এই সংঘাতের প্রেক্ষিতে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে এবং যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে আমাদের বাহিনী।”