নামমাত্র লাভ জিহাদের অভিযোগেই হতে পারে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১ লক্ষ টাকা জরিমানা

নামমাত্র লাভ জিহাদের অভিযোগেই হতে পারে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১ লক্ষ টাকা জরিমান

নিউজ ডেস্ক : তিন তালাক এর মতই মুসলিমদের সামাজিক কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করার জন্য আরও একটি বিল আনা হলো মধ্যপ্রদেশে। ভিন্ন ধর্মের পুরুষ-মহিলা যাতে নিজেদের ধর্ম পরিবর্তন না করতে পারে সে জন্যই করা হয়েছে এই বিল। সরকারের এই নীতির বিরুদ্ধে গেলে কারো হতে পারে ১০ বছরের জেল এবং এক লক্ষ টাকা জরিমানা। যদিও সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে এই বিল আনা হয়েছে শুধুমাত্র মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এবং জালিয়াতি করে কারো ধর্ম পরিবর্তন বন্ধ করতে। তবে মধ্যপ্রদেশের গেরুয়া বাদীদের সরকারের মূল লক্ষ্য যে মুসলিম সমাজ তা বোঝাই যাচ্ছে তাদের মন্ত্রীদের বিভিন্ন মন্তব্যে। তাদের সাফ কথা বিয়ের জন্য কারো ধর্ম পরিবর্তন করা যাবে না। যদিও কলকাতা হাইকোর্ট এবং এলাহাবাদ হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই রায় দিয়েছে প্রাপ্তবয়স্ক কোন ব্যক্তি নিজের ইচ্ছায় কারো সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চাইলে বা তার ধর্ম পরিবর্তন করতে চাইলে সে ক্ষেত্রে কারো কোনো হস্তক্ষেপ দেওয়ার অধিকার নেই।

মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রিসভা ইতিমধ্যেই এই বিলটিকে মঞ্জুরি দিয়ে দিয়েছে। এবার বিলটি মধ্য প্রদেশের বিধানসভার পরবর্তী অধিবেশনে পেশ করা হবে। সেখানে গৃহীত হলেই এটি পরিবর্তিত হবে আইনে। যেহেতু বর্তমানে মধ্যপ্রদেশের বিজেপির সরকার রয়েছে, তাই সংখ্যাগরিষ্ঠতার বলে তারা এই বিলটি আইনে পরিণত করতে সক্ষম হবে বলে ধারণা করছে রাজনৈতিক মহল। এই আইন অনুসারে দুটি ভিন্ন ধর্মের ব্যক্তি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য দুই মাস আগে থেকেই ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে বিষয়টি জানাতে হবে। তবে বর্তমানে গেরুয়া দুষ্কৃতীদের দ্বারা দেশব্যাপী যে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করা হয়েছে লাভ জিহাদের ব্যাপারে তার ফলে কোনো দম্পতি কোন সাহসে প্রকাশ্যে তাদের বিয়ের ঘোষণা করবে সেটাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আর যদি কেউ সাহস করে এমনটি করেও ফেলে তবে তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে কি সরকার? রাজ্য সরকারের এই বিলে তাদের নিরাপত্তার জন্য নেই কোনো ব্যবস্থা।

এর আগে উত্তরপ্রদেশ হরিয়ানা কর্ণাটক সহ বেশকিছু বিজেপি শাসিত রাজ্যে এই তথাকথিত ধর্মীয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আইনটি আনা হয়েছে। এই আইনের বলে মূলত মুসলিম সম্প্রদায়কেই হেনস্থা করা হচ্ছে বলে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ঘটনাবলি তে দেখা গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশে গত এক মাসে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে বৈধ বিবাহে বাধা দিয়েছে যোগীর পুলিশ কিন্তু পরবর্তীতে আদালতে গিয়ে ন্যায় বিচার পেয়েছেন তারা।

Latest articles

Related articles