এনবিটিভি ডেস্কঃ সোমবার ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষের সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ভাষণের মধ্যে দিয়ে। ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষের অধিবেশনটি দুটি অংশে অনুষ্ঠিত হবে। অধিবেশনের প্রথম অংশটি ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে তা ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শেষ হবে৷ এক মাস পর অধিবেশনের দ্বিতীয় অংশটি ১৪ মার্চে শুরু হবে এবং তা ৮ এপ্রিলে শেষ হবে৷
২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষের বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এই আর্থিক বর্ষের প্রথম দিনে অনেক নতুন কিছু জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তার মধ্যে অন্যতম হল আরবিআই ডিজিটাল মুদ্রা আনছে বাজারে। চলতি বছরেই শুরু হবে ৫জি পরিষেবা। ই-পাসপোর্ট দেওয়া হবে। থাকবে ইলেকট্রনিক চিপস। জীবন বিমা নিগমের আইপিও আনা হচ্ছে।
আজ প্রথমদিনেই বাজেটে পেশ করতে দেড়ঘণ্টা সময় লাগলেও কোনও দিশা দেশবাসীকে দেখাতে পারলেন না নির্মলা সীতারমণ মনে করছেন অর্থনীতিকবিদগণ। যদিও কিছু বিষয়ে কর বা শুল্কে ছাড় দিয়ে দাম কমিয়েছেন। আবার কিছু ক্ষেত্রে শুল্ক বাড়িয়ে ও অপরিবর্তিত রেখে দাম বাড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
যে সমস্ত জিনিষের দাম কমল তাদের মধ্যে হল চামড়াজাত দ্রব্য, পোশাক, জুতোর দাম কমছে। ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশে দাম কমানোয় সস্তা হচ্ছে মোবাইল ফোন, চার্জার। হীরের গয়না, হীরে ও রত্নের দাম কমছে। কৃষিজাত দ্রব্য ও যন্ত্রাংশের দাম কমছে। ইমিটেশনের গয়না, পেট্রোলিয়াম পণ্য উত্পা দনের জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক, স্টিলের উপজাত দ্রব্য। কেরোসিন, গ্যাসোলিন, জ্বালানি তেল, ডিজেল জ্বালানি, তরল প্রাকৃতিক গ্যস, তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসর।
যে সমস্ত জিনিষের দাম বাড়ল তাদের মধ্যে হল বিদেশি ছাতা, ইস্পাতজাত দ্রব্যে, বিদেশ থেকে আমদানিকৃত যে কোনও পণ্য, মদের দাম, LED লাইটের দাম, খাদ্য তেলের দাম।
চলতি কেন্দ্রীয় বাজেটে বেতনভোগী শ্রেণির জন্য কোনও কর ছাড় না দেওয়ার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় হতাশা মিমিক্রি পোস্ট শুরু হয়েছে। যারা প্রত্যক্ষ করের রাজস্বের প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ অবদান রাখে, তারা করোনা মহামারী দ্বারা সৃষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষতি পূরণের জন্য কিছু আয়কর ত্রাণ আশা করেছিল। অবশেষে কোন প্রকার আশার আলো মেলেনি মধ্যবিত্তরাও। যাইহোক, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ২০২২ কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করার সময় আয়কর হার কোনও পরিবর্তন ঘোষণা করেননি। টুইটারে “মধ্যবিত্ত” এবং “আয়কর” এই দুটি ট্রেনডিঙ্গ বেশ সারাদিন ধরে চলে।
আমজনতার ক্ষেত্রে করের কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন আনেনি কেন্দ্র সরকার। তাই ব্রাত্য কিন্তু নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু জিনিষের দাম নির্ধারণ করে বোঝা কমাতে চাইল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথম পর্বের পরবর্তী দিনগুলি কেমন হবে তা এখন সময়ের অপেক্ষা।