পাঠকের কলম: ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় সবাই তাকে আপন মনে করে আঁকড়ে ধরে মূলত ইসলাম থেকে বহু দূরে সরে পড়েছি। যুবক সম্প্রদায় যাদেরকে আমরা ভবিষ্যৎ বলে মনে করি তাদের গুরু সিনেমার নায়ক নায়িকা তাদের অনুকরণ ও অনুসরণের নামে নতুন সভ্যতা ও মডার্ন ফ্যাশন।তাদের প্রত্যেকের দাড়ি গোঁফ চুল প্যান্ট শার্ট জুতো দেখে মনে হবে জঙ্গলের জন্তু লোকালয় থেকে উঠে এসেছে।তারা নিজেদের শরীরের জন্য যে সৌন্দর্য মনে করছে বস্তুতঃ তা পাশ্চাত্যের সভ্যতা অর্থাৎ ইউরোপীয় খ্রিস্টান পরিবেশের পোশাক-পরিচ্ছদ। আমাদের সমাজের অনেক অনভিজ্ঞ মানুষ ওই খ্রিস্টীয় কৃষ্টি কালচারকে ও ইসলামের গৌরব বলে মনে করে থাকে। অথচ তেরেনাম কাটিং চুল সাইড লক দাড়ি সুট টি-শার্ট দাঁড়িয়ে খাওয়া-দাওয়া দাঁড়িয়ে পেশাব পায়খানা প্রভৃতি খ্রিস্টানদের সভ্যতা। যার প্রতিক্রিয়া বিষের মত ইসলাম ধর্মের জীবনকে বিনাশ করেছে। তদুপরি সিগারেট বিডি মদ যুগের সভ্যতা সহ নারীদের উলঙ্গ করে ব্যভিচারের রাস্তা প্রসারিত করা তাদেরই প্রকল্প। হাফ হাতা বিনা হাতা ব্লাউজ কোমর পর্যন্ত জামা স্কাট হিল ওয়ালা চপ্পল পেট পিঠ মাথা খালি চুস সালোয়ার কামিজ এবং শার্ট সুট সবথেকেই বেহায়ায়ি ও নিলোর্যতা প্রকাশ পাচ্ছে। এবং উদ্দেশ্য আকর্ষণীয় অঙ্গ খুলে আকৃতির উঁচু-নিচু দেখিয়ে যুবক-যুবতী সমাজ কে ফেতনায়ে প্রোতিত করা ।
জীবনের মূল্যবান সময় মেয়ে বাজিতে ভিড়িয়ে দিয়ে ভবিষ্যতকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করা ।তাতে পাশ্চাত্যের বিশ্বশক্তি এর প্রধান লাভ যে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে না। আজ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো কেন বরং মুসলিম কর্ণধার রাষ্ট্রগুলির দিকে তাকিয়ে দেখুন তারাও এই আরাম বিলাসিতার নেশায় পরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দায়িত্বকে পদতলে ফেলে রেখেছে ।ফলে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি তো দূরের কথা নিজ সভ্যতা কে বজায় রাখতে পারছে না। এই মুসলিম জাতি।আমরা নব্য যুগের সভ্য মানুষ , বরং আমি বলব খ্রিস্ট যুগের উলঙ্গ মানুষ। মূর্খ যুগের অসভ্য মানুষ , বিজ্ঞান যুগের স্টাচু মাত্র, তথা আত্মা বিহীন দেহ ,রক্তমাংসের নাম মানুষ নয়। যার মধ্যে মনুষত্ব নেই সে মানুষ নয়।মানুষের মর্যাদা ও উত্থান-পতন তার গুণাগুণের ওপর নির্ভর করে।
প্রিয় পাঠকবৃন্দ আজ আমরা যদি সমীক্ষা করি তাহলে দেখতে পাব ইসলামের কর্ম আমরা 10 ভাগ করে থাকি আর বাকি 90 ভাগ খ্রিস্টান ইহুদী নাছারা সহ হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী প্রতিনিয়ত করে চলেছি।শুধু ঈমানের বৈশিষ্ট্য সহজে নষ্ট হয় না তাই আমরা মুসলমান আছি অন্যথায় এই পরিবেশে আমরা বেইমান হয়ে যেতাম। আমরা মানুষ আর মানুষ অভ্যাসের দাস তার মস্তিষ্ক যে পরিবেশে মানুষ তার ধ্যান ধারণা সবই পারস্পারিক জ্ঞান বিজ্ঞান এর মধ্যে সীমিত। তার বাইরে আল্লাহ ছাড়া কেউ ক্ষমতা রাখেনা। তাহলে বোঝা গেল যাবতীয় ফ্যাশনের প্রেম আমাদের বিবেক বুদ্ধির বিভ্রান্তি যা একটি রোগ। এই ব্রেনের রোগ চারটি কারণে এসে থাকে ১, ইসলামী পরিবেশ সমাজ ব্যবস্থা না হওয়া ২, পিতা মাতার সন্তান সন্ততির প্রতি ইসলামিক দায়িত্ব পালন না করা ৩, সার্বিক পরিবেশ বিশেষত অর্থশালী সমাজসেবী পরিবেশ বেধর্মী খ্রিস্টান মত হওয়া, ৪ নেতা জনতা মালিক-শ্রমিক সবাইয়ের ফ্যাশান সিনেমার নায়ক নায়িকা হওয়া যারা আমেরিকা ও ইউরোপ সহ বিভিন্ন ফ্যাশন কে অক্ষরে অক্ষরে পালন করে থাকে,। বিভিন্ন রোগের বিভিন্ন চিকিৎসা আছে তদ্রুপ ব্রেনের রোগ উল্টো বোঝা ভুল বোঝা ইত্যাদি ।যার চিকিৎসক কোরআন ও হাদিস তথা ওহী তার উর্ধে কোন জ্ঞান কোন থিওরি কোন তথ্য কোন বিশেষজ্ঞ হতেই পারেনা। আমরা এই যুগের ফ্যাশন ও প্রাকৃতিক ও ভৌগোলিক সামাজিক জীবনে যে অভিজ্ঞতা লাভ করেছি যদি কোরান থিওরির বিপরীত হয় তাহলে তা পরিত্যাজ্য ও অগ্রাহ্য যোগ্য । এটা ভুল ধারণা।বরং থিওরি যদি কোরআনের বিপরীতে এসে যায় তাহলে উক্ত থিওরিকে এবং উক্ত অভিজ্ঞতাকে অন্ধকার ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলতে হবে। এবং মহাগ্রন্থ আল কোরআন সহ হাদিস কে যথাযথভাবে প্রাধান্য দিতে হবে। সর্বশেষ আল কোরআনের বিধানের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে এবং নিজের ব্রেনকে নতশিরে মানাতে হবে। يا ايها الذين امنوا امنوا بالله ورسوله والكتاب الذي نزل على رسوله والكتاب الذي انزل من قبل প্রিয় পাঠক বৃন্দ তবেই আমরা মুসলমান হিসাবে মমিন হিসাবে পরিগণিত হব। অন্যথায় ঈমান হারা মানুষের ন্যায় দেহবিশিষ্ট এক কাঠের পুতুল ব্যতীত কিছুই নয়। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে জানা শুনা এবং সেই মোতাবেক আমল করার তৌফিক দান করুন ।আমীন সুম্মা আমীন
মুফতি মিজানুর রহমান কাসেমী
বল্লভপুর,চাকলা,দেগঙ্গা,উঃ ২৪ পরগনা