নিউজ ডেস্ক : ভারত সরকারের অধীনস্থ নীতি আয়োগ ২০২০ সালে ভারতের ২৮ টি রাজ্যের মধ্যে উদ্ভাবনী শক্তির বিচারে সেরা রাজ্যগুলির রাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। ইন্ডিয়া ইনোভেশন ইন্ডেক্স প্রকাশ করা শুরু হয়েছে গত বছর থেকে। এই ইন্ডেক্স মূলত গ্লোবাল ইনোভেশন ইন্ডেক্স এর দেশীয় প্রতিরূপ। বর্তমানে গ্লোবাল ইনোভেশন ইন্ডেক্স এ ১৩১ টি দেশের ভারতের রাঙ্কিং ৪৮। এবার দেখে নেওয়া যাক ভারতের মধ্যে উদ্ভাবনী শক্তির বিচারে কোন রাজ্যগুলি অগ্রগামী।
নীতি আয়োগ এর প্রকাশিত রাঙ্কিং এ ভারতের রাজ্যগুলিকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রথমটি বৃহৎ রাজ্যের শ্রেণী, দ্বিতীয় পাহাড়ি এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য সমূহ এবং তৃতীয়টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলি। বৃহৎ রাজ্যগুলির তালিকায় সবার ওপরে অবস্থান করে নিয়েছে দক্ষিণ ভারতের রাজ্য সিলিকন ভ্যালির মালিক কর্ণাটক। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উদ্ভব ঠাকরের অধীনে থাকা মহারাষ্ট্র। তৃতীয় স্থানে দক্ষিণ ভারতের রাজ্য তামিলনাড়ু। চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানেও দক্ষিণ ভারতের দুটি রাজ্য তেলেঙ্গানা এবং কেরালার অবস্থান। রাঙ্কিংটিতে উত্তর ভারতের বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলির অবস্থান শোচনীয়। ভারতের সবথেকে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশ বিজেপির যোগী আদিত্যনাথ এর বিশ্বসেরা উন্নয়নের জোয়ারে ভেসেও গতবারের সপ্তম স্থান থেকে এবারের নেমে এসেছে নবম স্থানে। অন্যদিকে বিজেপি এবং জেডিইউ-এর অধীন থাকা বিহার রয়েছে বৃহৎ রাজ্যগুলির মধ্যে সবার শেষে অর্থাৎ ১৭ তম স্থানে।
যে গুজরাট মডেলের গল্প শুনিয়ে মোদী ভারতীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে এতদূর এসেছেন সেই গুজরাট প্রথম পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে জায়গা পায়নি। গুজরাটের অবস্থান অষ্টম। তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান ১১ তম।
অন্যদিকে পাহাড়ি রাজ্য এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে হিমাচল প্রদেশ, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তরাখণ্ড যেখানে তৃতীয় স্থান মনিপুরের দখলে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলির মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে রাজধানী শহর, কেজরিওয়ালের দিল্লি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চন্ডিগড়। রাঙ্কিং এ চরম শোচনীয় অবস্থায় রয়েছে ২০১৯ সাল থেকে কেন্দ্রের মোদি সরকারের সরাসরি শাসনে থাকা সমৃদ্ধশালী এবং ঐতিহ্যবাহী ভূস্বর্গ নামে পরিচিত জম্মু এবং কাশ্মীর। প্রাকৃতিক সম্পদ এবং মানব সম্পদের উর্বর ভূমি জম্মু-কাশ্মীর আজ মোদির ছোঁয়ায় অবস্থান করছে বঙ্গোপসাগরের বুকে অবস্থিত আন্দামান নিকোবর এর থেকেও অনেক পিছনে।