নিউজ ডেস্ক : বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে বিজেপি শিবির ভাঙার কাজ ভালোভাবেই শুরু করেছেন মুকুল রায়। শুধু এই রাজ্যেই নয় বিজেপির বিরুদ্ধে মুকুল মাঠে নেমে পড়েছেন ত্রিপুরায় ও। কিন্তু বিজেপির এত ক্ষতি করা সত্ত্বেও বিজেপির বিধায়ক পদ ছাড়তে রাজি না তিনি, যা নিয়ে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ বিধানসভায় বিজেপি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার মাধ্যমে বেকায়দায় ফেলতে চান মুকুলকে। কিন্তু বাংলা রাজনীতির চানক্য হিসেবে পরিচিত মুকুল এবার পাল্টা চালে বিজেপি শিবিরের মুখ প্রায় বন্ধ করে দিতে যাচ্ছেন। বিধানসভায় তিনি থাকছেন বিরোধী আসনেই। অর্থাৎ গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সাহায্য করবেন রাজ্য সরকারকে।
এখনও খাতায় কলমে বিজেপির বিধায়ক মুকুল রায়। কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে প্রথমবারের জন্য বিধায়ক হন মুকুল রায়। বিধানসভায় শপথও নেন বিজেপি বিধায়ক হিসাবে। দলত্যাগ বিরোধী আইন এড়াতেই নতুন কৌশল নিচ্ছেন মুকুল রায়। বিধানসভায় মুকুল রায় তাই বসবেন বিরোধী বেঞ্চেই।
বিধানসভায় বিরোধী আসনে যেখানে বিজেপির বিধায়করা বসবেন ঠিক সেখানেই বসতে দেখা যাবে মুকুল রায়কেও। তৃণমূলে যোগ দিলেও বিধানসভায় শাসক দলের বিধায়কদের সঙ্গে যদি মুকুল রায় বসেন সেক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীরা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন ব্যবহার করে তার বিধায়ক পদ খারিজের চেষ্টা করবেন। তাই বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গেই বসতে চলেছেন মুকুল রায়। চলতি বিধানসভার প্রথম অধিবেশনে তাই মুকুল রায়কে বিজেপি বিধায়কদের পাশে বসতে দেখা যাবে। তৃণমূলে যোগ দিলেও বিধানসভায় মুকুল রায় বিজেপি বিধায়ক হিসাবেই থাকছেন। বিজেপির আপত্তি সত্ত্বেও মুকুল রায় বিধানসভায় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির সদস্য হয়েছেন। সব ঠিকঠাক চললে মুকুল রায়ই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হবেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।