মুকুলের আগমনে ব্যাপক ভাঙন নদীয়া বিজেপিতে, ঘাসফুলে আসলেন মুকুলের নির্বাচনী এজেন্ট সহ বহু বিজেপি নেতা কর্মী

নিউজ ডেস্ক : নির্বাচনে জয়ের পর থেকে এই প্রথম নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র নদীয়ায় গেলেন মুকুল রায়। আর প্রত্যাশিত ভাবেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন বহু বিজেপি নেতা কর্মী। তাদের মধ্যে ছিলেন মুকুলের নির্বাচনী এজেন্ট এবং আরো কিছু জেলা পর্যায়ের নেতা।

 

 

গত মাসে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তার পর এই প্রথম নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নদিয়ার কৃষ্ণনগরে পা রাখলেন তৃণমূল নেতা মুকুল রায় ও পুত্র শুভ্রাংশু রায়। রবিবার কৃষ্ণনগর ভাতজাংলায় প্রথমে তিনি আসেন। এর পর তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা তাঁকে পুস্পস্তবক দিয়ে, উত্তরীয় পরিয়ে সংবর্ধনা জানান। সম্বর্ধনা সেরে কৃষ্ণনগরের একটি বেসরকারি হোটেলে মুকুল রায় উপস্থিত হন। সেখানে অতীতে ‌ বিজেপি–তে যাওয়া অনেকেই আজ তৃণমূলে ফেরেন। তালিকায় রয়েছেন কৃষ্ণনগরের অরূপ রায়, চাকদার সাধন বিশ্বাস সহ একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। সেখানেই বিজেপি থেকে আরও বেশ কিছু কর্মী–সমর্থক মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করে।

 

 

যোগদান পর্বের শেষে মুকুল রায় বলেন, ‘‌অনেকদিন বাদে কৃষ্ণনগরে পা রাখলাম। কৃষ্ণনগরের মানুষ ভালো মানুষ। কৃষ্ণনগরকে আমি বহুদিন ধরে চিনি। কৃষ্ণনগরের সার্বিক উন্নয়ন হোক এটাই আমি চাই।’‌

 

 

 

যদিও যোগদান নিয়ে কোনও রকম মুখ খোলেননি মুকুল রায়। বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর আসন থেকেই বিজেপির টিকিটে ব্যাপক ব্যবধানে জয় লাভ করেন মুকুল রায়। কিন্তু তারপর বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে সংঘাতের জন্য তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন। তাই মনে করা হচ্ছিল আবার কৃষ্ণনগরে গেলে মুকুল অতটা উষ্ণ অভ্যর্থনা পাবেন না হয়তো। কিন্তু বাস্তবে বিজেপি ছেড়ে তার হাত ধরেই অনেকে যোগ দিলেন তৃণমূলে। তৃণমূলে যোগদানের পরে আবারও এই প্রথম কৃষ্ণনগরে পা রাখলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কৃষ্ণনগরে পা রেখে কৃষ্ণনগরের সার্বিক উন্নয়নের কথা বলেন তিনি।

 

 

অন্যদিকে, এদিন আসানসোলের জেলা বিজেপি সম্পাদক মদনমোহন চৌবে-সহ প্রায় হাজার তিনেক কর্মী, সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূলে। রবিবার আসানসোল উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক মলয় ঘটকের হাত ধরে দলীয় পতাকা তুলে নেন। জেলা সম্পাদকের বক্তব্য, ভ্রষ্টাচারে জড়িয়ে পড়েছে দল। আর সেখানে থাকা যাচ্ছে না। তাই দলবদলের সিদ্ধান্ত।

Latest articles

Related articles