নিউজ ডেস্ক : উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে ফের এক নিরীহ মুসলিমকে গণপিটুনির স্বীকার হতে হল উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের হাতে। জয় শ্রী রাম এর মত হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের দ্বারা বহুল ব্যবহৃত শব্দগুচ্ছ বলতে বলা হয় ওই ব্যক্তিকে। বলতে বলা হয় ভন্দে মাতরম ও। মুসলিম ব্যক্তিটির হাত জোড় করে করা কাতর আর্জিও সন্ত্রাসীদের মনে কোনো দয়ার উদ্রেগ করেনি। তাকে বেধড়ক মারধর করে লাঠির সাহায্যে। এমনকি তার দাড়ি ও কেটে দেয় সন্ত্রাসীরা। ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হওয়ার পর যোগীর পুলিশ সন্ত্রাসীদের বাঁচাতে মাঠে নেমে যায়। নির্বাচন মুখী উত্তর প্রদেশের কট্টর হিন্দুত্ববাদী মুখ্যমন্ত্রী যোগীর পুলিশ ঘটনাটিতে সাম্প্রদায়িক কোনো কারণ থাকার কথা উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের মতে ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে এই ঘটনা। তবে আক্রান্ত এবং তার পরিবারের তরফ থেকে দেওয়া বয়ানে পুলিশের এই বিবৃতি অসত্য বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
স্ক্রলের রিপোর্ট অনুসারে, নিকটবর্তী মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় আব্দুল সামাদ সাইফী নামক ওই প্রৌঢ় ব্যক্তিকে এক অটো রিকশা থেকে অপহরণ করে নিকটস্থ এক জঙ্গলের মধ্যেকার কুঁড়ে ঘরে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা। সেখানে তার ওপর অকথ্য অত্যাচার করা হয়। হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের বাঁচাতে উত্তর প্রদেশ পুলিশ ঘটনাটিতে সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ নেই বলে জানিয়েছে। এটা প্রমাণ করতে তারা এক মুসলিম ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে যিনি ওই আক্রান্তকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। ঘটনায় নিরপেক্ষ রিপোর্ট করা সব সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছে উত্তর প্রদেশের পুলিশ। এমনকি টুইটারে এই ভিডিওটি শেয়ার করা সব রাজনৈতিক এবং মিডিয়া ব্যাক্তিত্বের বিরুদ্ধে ও FIR দায়ের করেছে।
বিরোধীদের মতে, উত্তর প্রদেশের পুলিশের সাহায্যে পরিচালিত যোগীর গুন্ডারাজ্যে যত নির্বাচন এগিয়ে আসছে ততই হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাস বৃদ্ধি পাচ্ছে। সন্ত্রাসীদের সমান তালে সাহায্য করে যাচ্ছে যোগীর পুলিশ। বিরোধীদের অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতিতে মোদির মতো চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেওয়া যোগী আসন্ন নির্বাচনে ভোট চাওয়ার জন্য তেমন কিছুই করেননি। তাই উগ্র হিন্দুত্ববাদী নীতি ব্যবহার করবে গেরুয়া শিবির। আর এই নীতির মুলভাগে আছে মুসলিম বিদ্বেষ। সেই উদ্দেশ্যেই হিন্দুত্ববাদী ভোট পাওয়ার জন্য এমন সাম্প্রদায়িক ঘটনায় গেরুয়া শিবির মদত দিচ্ছে অভিযোগ।