Tuesday, April 22, 2025
30 C
Kolkata

বিজেপির নামধারী মুসলিমদের প্রত্যাখ্যান করল আসামের মুসলিমরা, মুসলিম মোর্চা ভেঙে দিচ্ছে বিজেপি

নিউজ ডেস্ক : মুসলিমদের ভোট পাওয়ার জন্য বিজেপি নির্ভর করে তারেক ফাতাহ, তাসলিমা নাসরিন, শাহনাওয়াজ হোসেন, মুখতার আব্বাস নাকভিড় মতো নামজাদা মুসলিম সমাজ দরদী মুখগুলোর ওপর। তাদেরকে দেখিয়েই মুসলিমদের কাছে থেকে ভোট নেওয়ার চেষ্টা চালায় বিজেপি। বোঝানো হয় উন্নয়নের পরিভাষা। মুসলিমদের বলা হয়, ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হলেও কিভাবে তারা উন্নয়নের অংশীদার হতে বিজেপিকে ভোট দিয়ে রাজ্যের অগ্রগণমের সঙ্গী হতে পারে। বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে বোঝানো হয় CAA NRC এর মত বৈষম্যমূলক মুসলিম বিদ্বেষী আইনের সুফল। আর এই সব কাজে বিজেপি ব্যবহার করে কিছু অনামী তথাকথিত মুসলিমদের। যাদের নিয়ে গঠন করা একটা মুসলিম সেল বা মোর্চা ও আছে তাদের। কিন্তু এই মোর্চা এখন আর বিজেপির কোনো কাজের না। কারণ সাধারণ মুসলিমরা বুঝেছেন এর সদস্যরা নিজেদেরকে বিজেপির কাছে সমর্পণ করেছে কোনো সংকীর্ণ স্বার্থে কিন্তু তাদের কল্যাণ বিজেপির বর্জনেই আছে। তাই মুসলিম এলাকায় ৮ জন মুসলিম প্রার্থী দিয়েও একটাও আসনে জয়লাভ করতে পারেনি বিজেপি। ফলশ্রুতিতে বিজেপির মুসলিম মোর্চা ভেঙে দেবে দলের নেতৃত্ব।

 

 

অসমের (Assam) বিধানসভার ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। ১২৬টি আসনের মধ্যে ৭৫টিতে জয় পেয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট। এর মধ্যে ৬০টি আসন পেয়েছে বিজেপি কিন্তু মুসলিম এলাকায় বড় ধাক্কা খেয়েছে গেরুয়া শিবির। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৮টি বিধানসভায় প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি। একটিতেও দাঁত ফোটাতে পারেনি তারা। উলটে বেশকিছু আসনে জামানত জব্দ হয়েছে বিজেপি প্রার্থীর। তাদের জোটসঙ্গী অসম গণপরিষদ ৩ টি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বিধানসভায় প্রার্থী দিয়েছিল। কিন্তু দিনের শেষে তাদেরও হাতে রইল পেনসিল।

বিজেপি জানিয়া, জলেশ্বর, দক্ষিণ সালমারা, বিলাসিপাড়া পশ্চিম, লহরিঘাট, রুপোলিহাট এবং বরাক উপত্যকার সোনাইতে প্রার্থী দিয়েছিল। এগুলি মুসলিম প্রধান অঞ্চল। এই সব জায়গায় বিজেপি প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের শতকরা হার যথাক্রমে ৬.১৮, ৯.৩৮, ২.০১, ১৬.৭৮, ২১.২৬, ১৪.২২, ৩৫.৪৯। তথৈবচ অবস্থা অসম গণপরিষদের প্রার্থীদেরও। সেঙা, দলগাঁও এবং যমুনামুখে সুবিধা করতে পারেনি বিজেপির জোটসঙ্গী। এর পরই দলের সংখ্যালঘু সেল ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নেতৃত্ব।

 

এ প্রসঙ্গে অসম বিজেপির সভাপতি রণজিৎ কুমার দাশ জানান, “বিধানসভা ভোটে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপির ফলাফল খুব খারাপ। এলাকাগুলিতে খুব কম ভোট পেয়েছে বিজেপি। অথচ এই সমস্ত এলাকায় ২০ সদস্যের বুথ কমিটি ছিল।” দলীয় নেতৃত্বের কথায়, সংখ্যালঘু এলাকায় এত খারাপ ফলের পর আর দলে সংখ্যালঘু সেল রাখার কী প্রয়োজন? উল্লেখ্য, অসমে ৩২-৩৪টি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বিধানসভা রয়েছে। ২০১৬ সালে এই বিধানসভাগুলির মাত্র একটিতে জয় পেয়েছিল বিজেপি।

Hot this week

আইপিএস নুরুল হুদার পদত্যাগ, ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে রাজনীতিতে প্রবেশ

আইপিএস অফিসার নুরুল হুদা ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে...

হঠাৎ করেই বুকে ব্যথা…! ...

হঠাৎ করে বুকে ব্যথা হওয়ায় তৎকাল কমান্ড হাসপাতাল ভর্তি...

মুম্বাইয়ের ভিলে পার্লের জৈন মন্দির ভাঙা ঘিরে বিতর্ক, রাস্তায় নেমে নীরব প্রতিবাদে হাজারো মানুষ

মুম্বাইয়ের ভিলে পার্লে এলাকায় অবস্থিত প্রায় ৯০ বছরের প্রাচীন...

অবশেষে আইনি মতামত নিয়ে রাজ্যকে যোগ্য অযোগ্য তালিকা পাঠাচ্ছে এসএসসি

ফের পথে নামলেন চাকরি হারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। মানববন্ধন করে এসএসসি...

বামেদের ব্রিগেড ‘ফ্লপ শো’ বললেন তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার

গত রোববার ছুটির দিনে বামেদের ডাকে আয়োজিত হলো বিশাল...

Topics

আইপিএস নুরুল হুদার পদত্যাগ, ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে রাজনীতিতে প্রবেশ

আইপিএস অফিসার নুরুল হুদা ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে...

হঠাৎ করেই বুকে ব্যথা…! ...

হঠাৎ করে বুকে ব্যথা হওয়ায় তৎকাল কমান্ড হাসপাতাল ভর্তি...

অবশেষে আইনি মতামত নিয়ে রাজ্যকে যোগ্য অযোগ্য তালিকা পাঠাচ্ছে এসএসসি

ফের পথে নামলেন চাকরি হারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। মানববন্ধন করে এসএসসি...

বামেদের ব্রিগেড ‘ফ্লপ শো’ বললেন তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার

গত রোববার ছুটির দিনে বামেদের ডাকে আয়োজিত হলো বিশাল...

জয় শ্রী রাম স্লোগান না দেওয়ায় মুসলিম কিশোরকে ভাঙ্গা কাঁচের বোতল দিয়ে বেধড়ক মার

উত্তরপ্রদেশের কানপুর গ্রামীণ এলাকার মহারাজপুর থানার অধীন সরসৌল অঞ্চলে...

Related Articles

Popular Categories