নিউজ ডেস্ক : স্বপ্ন ছিল শুভেন্দু এবং তার পরিবারের হাত ধরে পশ্চিমবঙ্গ জয় করবে বিজেপি। নিদান পক্ষে পূর্ব মেদনিপুরের তো সব আসন জয় করার আশা দেখছিল রাজ্য বিজেপি। কিন্তু কোথায় কি? শুভেন্দু পরিবারের নিজের জেলার ১৬ টি আসনের মধ্যে ১০ টিতেই ব্যাপক ব্যবধানে জিতেছে তৃণমূল প্রার্থীরা। বাকি ৬ টায় কোনো রকমে মুখ রক্ষা করেছে বিজেপি তারমধ্যে আছে নন্দীগ্রাম, যেখানে বিতর্কিতভাবে জয়ী ঘোষিত হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু অধিকারী পরিবার, যাদের অঙ্গুলি হেলনে নিয়ন্ত্রিত হত পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনীতি তাদের নিজেদের বুথেই অনেক পিছিয়ে পড়েছে বিজেপি, যা নিয়ে তাদের জনপ্রিয়তার ব্যাপারে প্রশ্ন উঠছে বিজেপির অন্দর মহলে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কাঁথি পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৮৩ নম্বর বুথে কার্যত গোটা অধিকারী পরিবার ভোট দেন। এবার তাঁর অন্যথা হয়নি। ভোটের ফলাফল বলছে, এই বুথে বিজেপি পেয়েছে ২১১টি ভোট। আর তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছে ২৬৫টি ভোট। অর্থাৎ বিজেপির চেয়ে তৃণমূল ৫৪টি ভোট বেশি পেয়েছে। যা নিসন্দেহে বিজেপির কাছে লজ্জার। অবশ্য বিজেপির চেয়ে বেশি অস্বস্তিতে অধিকারী পরিবার। বিজেপির নিচুতলার কর্মীদের একাংশ বলছে, নিজের এলাকায় অধিকারী পরিবারের প্রভাব ক্ষয়িষ্ণু। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্য তিনটি বুথে অবশ্য এগিয়ে বিজেপি। পুর এলাকার ১৫টি ওয়ার্ডেই বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। কাঁথি দক্ষিণ কেন্দ্রেও এবার জিতে গিয়েছে বিজেপি। তাই শেষ পর্যন্ত অধিকারী পরিবারের মুখরক্ষা হয়েছে।
তবে একা অধিকারী পরিবার নয়। একই পরিস্থিতি দিলীপ ঘোষের গ্রামেও। তাঁর পরিবার বিনপুরের যে বুথে ভোট দিয়েছে, সেখানে পিছিয়ে বিজেপি। এমনকী, ঝাড়গ্রামের একটি বিধানসভা আসনেও জিততে পারেনি গেরুয়া শিবির। যা দেখে রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, যেখানে নিজ নিজ এলাকার দলের উপরতলার নেতাদের জনপ্রিয়তা প্রশ্নের মুখে সেখানে কীভাবে গোটা রাজ্যে দু’শোর বেশি আসন পাওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা?