নন্দীগ্রামে বিজেপির অবস্থা সঙ্গীন,স্বীকার বার বার ফাঁকা মাঠের অতিথি নাড্ডার; শুভেন্দু দেখাচ্ছেন ভুয়া আত্মবিশ্বাস

নিউজ ডেস্ক : নন্দীগ্রামে বিজেপির অবস্থা খারাপ, এমন মন্তব্য দিল্লিতে বাংলার নেতাদের বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় বাংলার বিজেপি শিবিরের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল বলে শোনা গিয়েছিল। আবার শিশির এবং শুভেন্দু বার বার বলেছেন মমতা শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক জীবন শেষ করতে নন্দীগ্রামে গিয়েছেন, যেটা থেকে পরিষ্কার শুভেন্দু বা বিজেপি নন্দীগ্রামে মমতার আগমনে সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। আবার তেমন কথাই একটু অন্যভাবে শোনা গেল পশ্চিমবঙ্গে ভোট প্রচারে এসে বার বার ফাঁকা মাঠের সাক্ষী থাকা বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার মুখে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডার একটি মন্তব্য ঘিরে নন্দীগ্রামে ভোটের আগের দিন রাজনীতি সরগরম ছিল। হুগলির ধনেখালিতে বুধবার নির্বাচনী সমাবেশে নড্ডা বলেন, ‘‘ভবানীপুর থেকে ভয় পেয়ে মমতা পাড়ি দিয়েছেন নন্দীগ্রামে।’’ তাঁর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার মন্তব্য, ‘‘সত্য কখনও চাপা থাকে না। নন্দীগ্রাম যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে সহজ এবং বিজেপির পক্ষে কঠিন কেন্দ্র, তা জে পি নড্ডাই স্বীকার করে নিলেন।’’

 

বিজেপি প্রার্থী তুষার মজুমদারের সমর্থনে ধনেখালির ফিডার রোডের সভায় এ দিন নির্দিষ্ট সময়ের আড়াই ঘণ্টা পরে পৌঁছন নড্ডা। তাঁর এ দিন লিলুয়ায় সভা করার কথা থাকলেও তা বাতিল হয় ফাঁকা মাঠ দেখে। তার বদলে জি টি রোড ধরে রোড শো করেন তিনি। লিলুয়া আরপিএফ মাঠে হেলিকপ্টার থেকে নামার পর বালিঘাট গিয়ে সেখান থেকে বেলুড় মঠ পর্যন্ত রোড শো করার কথা ছিল নড্ডার। কিন্তু তিনি আগে বেলুড় মঠে যান। সেখান থেকে বেরিয়ে ৬০০ মিটার রাস্তা ধরে রোড শো করার পর হাওড়ার ইছাপুরে সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে চলে যান নড্ডা। তাঁর রোড শো’তে দৃশ্যত হাজার খানেক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। যদিও বালির মুখ রক্ষায় বিজেপির বৈশালী ডালমিয়া বলেন, ‘‘রাস্তার দু’ধারে এবং রোড-শো’তে এত লোক হয়েছিল যে, গাড়ি এগোতে পারছিল না। তাই নড্ডাজিকে অন্য কর্মসূচিতে চলে যেতে হয়েছে।’’ কিন্তু আদতে স্থানীয়রাও যোগ দেননি রোড শো এ।

 

তবে আজ সারাদিন মমতা বন্দোপাধ্যায় বুথে বুথে না ঘুরলেও শুভেন্দু ঘুরে ঘুরে এসে সাংবাদিকদের বলেন এই দফায় ৩০ টি আসন সব বিজেপির। গত পর্বের ভোটের পরও শুভেন্দু অধিকারী একই সব আসন পাওয়ার দাবি করেছিলেন। অর্থাৎ তার কথা মতো বিজেপি এই পর্যন্ত ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হওয়া ৬০ টি আসনেই জিতবে। অন্যদিকে অমিত শাহ প্রথম দফার ৩০ টি আসনের মধ্যে ২৬ টি আসন পাওয়ার দাবি করেছিলেন। এই অসঙ্গতি ও ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছেন অনেকে। শুভেন্দু আদতে বিজেপির নাজুক অবস্থা ঢাকতে শুধুই ভুয়া আত্মবিশ্বাস দেখাচ্ছেন।

Latest articles

Related articles