নেপালে সরকার গঠন করবে অমিত শাহ? কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের কাছে জবাব তলব নেপালের

নিউজ ডেস্ক : বিজেপি নেতাদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় আবার বিদেশনীতির পক্ষে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াল। এই দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের কারণে ইতিমধ্যেই মোদি সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ নেপাল ক্ষেপল ভারতের ওপর। নেপাল এবং শ্রীলঙ্কায় সরকার গড়তে চান অমিত শাহ, এমন মন্তব্য কিছু দিন করতে শোনা যায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে। এই মন্তব্যটি ভালো ভাবে নেয়নি নেপালের বর্তমান সরকার। তারা এই ব্যাপারে কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের কাছে অমিত শাহের এমন উচ্চাকাঙ্খা এর কারণ দর্শাতে বলেছে।

উল্লেখ্য বিপ্লব দেব কোনো সাধারন বিজেপি নেতা নয়, এক রাজ্যের ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রী। তাই তার দেওয়া মন্তব্য সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। তাই এ ব্যাপারে জবাব তলব করেছে নেপালের ওলি সরকার। শ্রীলঙ্কাও শীঘ্রই এই বিষয়টিতে প্রতিক্রিয়া দিতে পরে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশদুটিতে প্রথম সারির সমস্ত সংবাদমাধ্যম বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে চাপিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে সত্যিই কি ভারত সেদেশের রাজনৈতিক ব্যাবস্থায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে চায় কি না!

উল্লেখ্য নেপালে গত বছরের শেষ মাসে নেপালের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির সাহায্যে সেখানকার সংসদ ভেঙে দেন। এপ্রিল মে মাসে সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ২৭৫ আসনের নেপালি সংসদে বর্তমানে সর্বাধিক আসন আছে নেপালি কমিউনিস্ট পার্টির হাতে। চীন ঘনিষ্ট এই সরকারের সঙ্গে বর্তমানে ভারতের সম্পর্ক আদৌ ভালো নয়। ফলে সরকার চায় সেদেশে সরকার পরিবর্তন। নেপালের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি সেখানে কমিউনিস্ট পার্টির মাঝে দুটো দল তৈরি করেছে যা সেদেশে ভারত বিরোধী এই সরকারের পতনের জন্য সুবিধাজনক হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। কিন্তু অমিত শাহের এই পরিকল্পনার পরে নেপালে স্বাভাবিক ভাবেই মানুষ আসন্ন নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপের আশঙ্কা করে ভারত বিরোধী সরকারকেই ভোট দিতে বেশি আগ্রহী হবেন এবং সেক্ষেত্রে কমিউনিস্ট পার্টি আবার একত্রিত হতে পারে পারে বলে মত রাজনৈতিক বোদ্ধাদের।

Latest articles

Related articles