গত দুই বছরে (২০২২-২০২৩) দেড় লক্ষেরও বেশি বাড়ি ভেঙ্গে দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয়, রাজ্য ও স্থানীয় কতৃপক্ষ।
এ সময় সাত লাখ মানুষকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাউজিং অ্যান্ড ল্যান্ড রাইটস নেটওয়ার্ক।
ওই সংস্থাটি ‘ভারতে জোরপূর্বক উচ্ছেদ ২০২২ থেকে ২০২৪’ নামের এক প্রতিবেদনে জানায়, ভারতে এই দুই বছরে প্রতিদিন কমপেক্ষ ২৯৪টি বাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। ২০২৩ সালে প্রতি ঘণ্টায় উচ্ছেদ করা হয়েছে ৫৮ জন ব্যক্তিকে।
২০২৩ সালে যে হারে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে সেই হিসেবে অন্তত ৫ লাখ মানুষকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে এই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
সংগঠনটি জানিয়েছে গত সাত বছরের মধ্যে এবারই এত বেশি সংখ্যাক মানুষকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
৫৮ শতাংশ মানুষকে অপসারণ করার সময় সেগুলোকে ‘বস্তি’ উল্লেখ করা হয়েছে অথবা অধিগ্রহণ ও নগরের সৌন্দর্যায়নের নামে লোকজনকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
শুধুমাত্র দিল্লির ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরিতে অন্তত ৭৮টি উচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দিল্লীতে উচ্ছেদ করা হয়েছে অন্তত ৩ লাখ মানুষকে।
এর মধ্যে ভারতের সুপ্রীম কোর্ট, রাজ্যগুলোর হাইকোর্ট ও ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল আদালতের আদেশে উচ্ছেদ করা হয়েছে প্রায় তিন লাখ মানুষকে।
উচ্ছেদ হওয়া মানুষের মধ্যে তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী, যাযাবর সম্প্রদায়, অভিবাসী শ্রমিক এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা অন্তুভুক্ত আছে।
এই সংগঠনটির আশঙ্কা সারাদেশে অন্তত ১৭ মিলিয়ন মানুষ উচ্ছেদ ও বাস্তুচ্যুতির হুমকির মধ্যে জীবনযাপন করছে।