নিউজ ডেস্ক : হিন্দুত্ববাদী বিজেপির সরকারের অধীনে ভারতের বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন ১১ জন পাকিস্তানি হিন্দু। এই বছরের আগস্ট মাসে সংগঠিত এই হত্যাকাণ্ডে হাত ছিল ভারতীয় অনেক আধিকারিকের। ভারত সরকার তাদেরকে বিচারের সম্মুখীন করাতে নারাজ। এই অভিযোগে এই রাষ্ট্রসঙ্ঘে বিষয়টি উত্থাপন করল পাকিস্তান। পাকিস্তানের মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী শিরীন মাজারি এ বিষয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের উদ্দেশ্যে লেখা একটি চিঠিতে এই ঘটনার সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং দ্রুত তদন্তের দাবি করেছেন।
তার চিঠিতে সেদিন বাজারে রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাছে এই বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য এক তদন্তকারী দল গঠনের দাবি করেছেন এবং ভারতকে অনুরোধ করেছেন এই তদন্তকারী দল কে এই ব্যাপারে তদন্ত চালানোর অনুমতি দিতে। তিনি বলেন মনিপুরের সংঘটিত হওয়া এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের সম্মুখীন করতে ভারত সরকার তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
দীর্ঘ মেয়াদি ভিসাতে ভিল সম্প্রদায়ের ওই ১১ জন হিন্দু ভারতে এসেছিলেন গত বছর। তবে তাদের অজ্ঞাত কারণে বিচার বহির্ভূত হত্যার হত্যার পর বিষয়টি নাকি ভারত সরকার ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। এমনকি তাদের পরিবারের কোনো রকম ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেনি ভারত সরকার। এছাড়াও মনিপুরে বহু বিচারবহির্ভূত হত্যার কোনো বিচার হয় নি বলেও অভিযোগ মাজারির।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা বেশ কিছু হিন্দু ও শিখ পরিবার নাগরিকত্ব পেলেও পাকিস্তানে ফিরে গিয়েছে ভারত সরকারের উপযুক্ত সাহায্য না পাওয়ার অভিযোগ করে। বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে কট্টর হিন্দুত্ববাদের সমর্থক বিজেপি সরকার পাকিস্তান বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে আগত হিন্দু পরিবারগুলিকে নাগরিকত্ব প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে কিন্তু নিজেদের দেশেই বিদেশ থেকে আগত হিন্দুদের নিরাপত্তা এবং অন্যান্য সমস্যার যথাযথ খেয়াল রাখছে না, এটা কোন ধরনের মানবতা প্রেম? যদি এমনই থাকে তাহলে পরবর্তীতে কি ওই তিন দেশ থেকে কোন মুসলিম পরিবার ভারতবর্ষে এসে নাগরিকত্ব নেওয়ার চেষ্টা করবে? যদি না আসে তবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কিসের জন্য তৈরি? তাহলে কি শুধুই রাজনীতি?