এনবিটিভি ডেস্ক,মুকুন্দপুর: পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি লিমিটেডের খামখেয়ালিপনায় বিদ্যুৎ বিলের বহর নিয়ে গ্রাহকদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। নমুনা পদ্ধতিতে মিটার রিডিং নিয়ে গ্রাহকদের মোটা অঙ্কের গড় বিল পাঠানো বিদ্যুৎ সরবরাহ দপ্তরের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। গত মে মাসে কিছু গ্রাহকদের বাড়িতে গিয়ে মিটার রিডিং নেওয়া হয়েছিল।অামফান দুর্যোগে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত ছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার কথা মাথায় না রেখে কারোর ক্ষেত্রে ৩/৫/৬ মাসের মোটা অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল পাঠানো অব্যাহত রয়েছে। অাগামী ৩১ শে অাগষ্টের মধ্যে বিদ্যুৎ বিল জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যত বিদ্যুৎ ভোগের পরিমাণ বেশি হবে তত উচ্চহারে শুল্ক দিতে হবে।তাই মাসে মাসে বিদ্যুৎ বিল পাঠানোর পরিবর্তে ত্রৈমাসিক বা বেশী সময়ের বিল পাঠিয়ে গ্রাহকদের সর্বশান্ত করায় খেলায় মেতেছে বিদ্যুৎ দপ্তর। কোলকাতায় বেশি বিদ্যুৎ বিল পাঠালে হৈচৈ হয়।গ্রামীণ এলাকায় গ্রাহকদের উপর মই চালালেও সবাই নির্বিকার। মাসের বিদ্যুৎ বিল মাসে পাঠানো,মিটার রিডিং না নিয়ে গড় বিল পাঠানো বন্ধ করা,অামফান দুর্যোগ জনিত কারণে বিদ্যুৎ বিল মকুব করা সহ বিদ্যুৎ শুল্ক হ্রাস করার দাবী জানিয়ে দেশপ্রাণ ব্লকের মুকুন্দপুর বিদ্যুৎ দপ্তরে বিক্ষোভ কর্মসূচী রূপায়িত হয়। সেই সাথে ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেন সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন,এরিয়া কমিটির সম্পাদক সঞ্জিত দাস,সুতনু মাইতি, তাপস মিশ্র,অাশীষ গিরি,তরুণ মাইতি,মাণিক গারু,সলিল বরণ মান্না, অাশীষ পাল, চন্দন দাস প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সিপিঅাইএম নেতা তথা প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন বলেন রাজ্য সরকার বিদ্যুৎ বিল নিয়ে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে চলেছেন।একদিকে জনগণকে সর্বশান্ত করা অপর দিকে পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতির নামে রাজ্যকে দেউলিয়া করে দিয়েছেন।এইসব দাবীদাওয়ার ভিত্তিতে অাগামীকাল দেশপ্রাণ ব্লকের বিডিও দপ্তরে ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি প্রদান করার কর্মসূচি রূপায়িত হবে বলে জানান সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন।