পরিশ্রমই সাফল্যের চাবিকাঠি। আপনি যেকোনো প্রান্তে থাকুন না আপনার কাজ আর পরিশ্রম সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দেবে একদিন।আর এর উদাহরণ স্বরূপ যদি বলা যায়, তাহলে উঠে আসবে বাংলার জঙ্গলমহলের মেয়ে প্রণতি নায়েকের লড়াইয়ের কথা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম পিংলার মেয়ে প্রথম টোকিও অলিম্পিকের টিকিট পেলেন। ২৬ বছর বয়সী বাংলার এই অ্যাথলিট ২০১৯ সালে উলানবাটারে আয়োজিত এশিয়ান আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন। আর করোনা অতিমারির কারণে বাতিল হয়ে যায় এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। ফলে মহাদেশীয় কোটার মাধ্যমে টোকিও অলিম্পিক্সের টিকিট পাকা করে ফেলেন বাংলার জিমন্যাস্ট প্রণতি নায়েক।
এশিয়া কোটার বিচারে শ্রীলঙ্কার এলপিতিয়া বাদালগের ঠিক পিছনেই রয়েছেন প্রণতি। গত ২৯ মে থেকে চিনের হ্যাংঝাউতে সিনিয়র এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ হওয়ার কথা ছিল, যা বাতিল হয়ে যায় করোনার জেরে। এরপর আগের ফলাফলের বিচারেই, প্রতিযোগীদের অলিম্পিক্সের টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই প্রথমবার অলিম্পিক গেমসে অংশগ্রহণ করতে চলেছেন প্রণতি নায়েক। জাপানের টোকিও শহরে চলতি বছর অলিম্পিকের আসর বসতে চলেছে। আর সেখানেই ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রামের পিংলার এক সাধারণ পরিবারের মেয়ে।
প্রণতির বাবা একজন বাস চালক। গরিব পরিবারের মেয়ে প্রণতি নায়েক এখন অলিম্পিকে ভারতের পদক ভরসার আরেক নাম।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রাম থেকে উঠে এসে, যেভাবে প্রণতি নিজের স্বপ্নকে বাস্তবরূপ দিতে চলেছেন, তাতে প্রণতির সাফল্যকে কুর্নিশ জানাতেই হবে। মিডিয়া তাঁকে হাইলাইট না করলেও এনবিটিভি কিন্তু তা করেনি, আর করবেও না কখনও। এনবিটিভি মানুষের পাশে থাকে, মানুষের জন্য, প্রতিনিয়ত।