রাজ্য সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড গ্রহণ করল না একটি বেসরকারী হাসপাতাল, ফলে বিনা চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হল অপারেশন থিয়েটারে। ঘটনার পর বিচারের আশায় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছেন সদ্য সন্তান হারা মা–বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে। শনিবার রাতে হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে মৃত্যু হয় মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমার বড়োয়া থানার বধুয়া গ্রামের যুবক মুসাফার শেখের।
এই ঘটনার পর মৃত যুবকের পিতা আমদ আলী সেখ অভিযোগ তোলেন রাজ্য সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড যদি গ্রহণ করত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হতো আমাদের ছেলের তাহলে এভাবে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু ঘটনা সম্ভবত ঘটতো না। এই ঘটনার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং চিকিৎসক দায়ী, মৃত যুবকের পিতা আমোদ আলী শেখ জানিয়েছেন পেটের ব্যথা নিয়ে গত 18 তারিখ কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ছেলেকে, অবস্থা খারাপ হওয়ায় কান্দি হাসপাতাল ছেলেকে রেফার করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ২০ তারিখ আমরা ছেলেকে চিকিৎসার জন্য বহরমপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করি। ওখানে ডাক্তার দেখে চিকিৎসা শুরু করে বলেন অস্ত্রোপচার করতে হবে পেটে, সেইমতো বেসরকারী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় প্রাথমিকভাবে 60 হাজার টাকা জমা করতে হবে, তবেই অপারেশন হবে। আমরা রাজ্য সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্য সাথী কার্ড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দেখালে উনারা টালবাহানা শুরু করেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড হাতে নিয়ে ছুড়ে ফেলেন বলেন টাকা জমা না করলে চিকিৎসা হবে না, আমরা ছেলের চিকিৎসার কথা চিন্তা করে সোনা দানা টোটো গাড়ি বিক্রি করে টাকা জোগাড় করে বেসরকারি হাসপাতালে জমা করি শনিবার রাতে অপারেশন করার আগে ডাক্তার আরো 5 হাজার টাকা দাবি করেন রক্তের জন্য, আমরা সেই টাকা দিতে পারিনি পরে দেবো জানিয়েছিলাম। সেদিন রাতেই অপারেশন বেডে ছেলের মৃত্যু হয়।
আমরা মনে করি চিকিৎসার গাফিলতিতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে টালবাহানা করার জন্যই ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আমরা তদন্ত এবং দোষীদের সাজা চাই,
যদিও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার জানিয়েছেন অপারেশন থিয়েটারে ওই রোগীর মৃত্যু হয়, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ওই রোগী হার্টফেল করে। তবে বাড়ির লোকেরা যে অভিযোগগুলো আনছেন আমার বিরুদ্ধে হাসপাতালের বিরুদ্ধে তা সবই মিথ্যে ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রথম থেকে রোগীর বাড়ির লোকেরা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর কোন কথা বলেন নি, এমনকি হাসপাতলে একটি পয়সাও দেয়নি। আমি মানবিকতার খাতিরে নিজের পকেট থেকে 60 হাজার টাকা দিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিল মিটিয়ে দিয়েছি। উল্টে রোগীর বাড়ির লোকেরা ফোন করে আমার কাছে টাকা চাইছেন কার্ডের গল্প সবই মিথ্যা।