ফ্রান্সে নতুন করে মাথাচাড়া দেওয়া রাফাল-বিতর্ক অস্বস্তিতে ফেলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তাঁর সরকার এবং দলকে। একই ভাবে, ব্রাজ়িলে কোভ্যাক্সিন কেনার চুক্তি ঘিরে দুর্নীতির শোরগোল হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলির।
ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশনের তৈরি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে মোদী সরকারের করা চুক্তি নিয়ে ফ্রান্সে বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। ব্রাজ়িলে আবার ভারত বায়োটেক আইসিএমআরের কোভিড-প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিন কেনার চুক্তি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট।
মোদী সরকারের আমলে ৩৬টি রাফাল কিনতে ৫৯ হাজার কোটি টাকার যে চুক্তি হয়েছে, তাতে মূলত দুর্নীতি ও ঘুষের অভিযোগে ফ্রান্সে তদন্ত শুরু হয়েছে। ব্রাজ়িলে অবশ্য ২ কোটি ডোজ় কোভ্যাক্সিন কেনার চুক্তিতে কোনও আর্থিক লেনদেনের আগেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠে গিয়েছে। সেখানে বিরোধীদের অভিযোগ, কোভ্যাক্সিন ব্রাজ়িলে ছাড়পত্র পাওয়ার আগেই ৩০ কোটি ডলারের ওই চুক্তি করে ফেলেছিল প্রেসিডেন্ট জ়াইর বোলসোনারোর প্রশাসন। কেন ফাইজ়ারের থেকে বেশি দামে এবং তা-ও ছাড়পত্র পাওয়ার আগে বোলসোনারো প্রশাসন কোভ্যাক্সিন কিনতে অত উত্সাহী হয়ে পড়েছিল, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে সাম্বার দেশে। চাপের মুখে চুক্তি বাতিল হয়েছে ঠিকই। কিন্তু সেখানে দুর্নীতি, ঘুষ, টাকার লেনদেন ছিল কি না, তার তদন্ত শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে মোদী সরকার একদমই চুপ।