এনবিটিভি ডেস্ক : রাজ্যর বিধানসভা নির্বাচনের সময় ঝড়ের গতিতে গেরুয়া শিবিরে আস্তানা নিয়েছিলেন অনেক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতৃত্ব। ভোটের ফলাফলে দেখেই চক্ষু চরোগ গাছ। এবার ফিরতে চাইছে নিজেদের পুরনো চেনা ঘরে। অনেকের কুমিরের কান্না করতে দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়াতে। একে একে ফিরছে তৃণমূল শিবিরে। তৈরী করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২৪ সালের লোকসভার কৌশল।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরেই তৃণমূলে ফিরলেন সব্যসাচী মুকুল ও ফিরহাদ হাকিমের হাত ধরে , নির্দেশ ছিল মুখ্যমন্ত্রীর । একুশের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে নজর কাড়া ছিলেন তিন জন। শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সব্যসাচী দত্ত। অনেকের মতে, এঁদের মধ্যে সব থেকে ‘সাহসী’ ছিলেন সব্যসাচীই। তাঁর অ্যাডভেঞ্চারিজম ছিল দেখার মতোই। শুভেন্দু ও রাজীব মন্ত্রিত্বের প্রায় পুরো মেয়াদ কাটিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সব্যসাচী তা করেননি।
বরং উনিশ সালের অক্টোবর মাসেই তৃণমূল, বিধাননগরের মেয়র পদ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অমিত শাহর হাত ধরে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঢুকেছিলেন বিজেপিতে। তবে অনেক লম্বা চওড়া দাবি করেও ভোটে ডাহা হেরেছেন সব্যসাচী ও রাজীব। তার পর থেকে রাজীব যেমন খোলাখুলিই তৃণমূলে ফেরার জন্য হত্যে দিয়ে পড়ে রয়েছেন, তেমনই সব্যসাচীর হাবভাব দেখে অনেকেরই সন্দেহ হচ্ছিল। বিশেষ করে মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরার পর সব্যসাচীর ঘরে ফেরা সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করা হচ্ছিল। শেষমেশ হচ্ছেও তাই। অবশ্য রাজীবের তৃণমূলে ফেরার ব্যাপারে এখনও কোনও দিনক্ষণ স্থির হয়নি বলেই খবর।
এখন কৌতূহলের বিষয় হল, সব্যসাচী দলে ফিরলেন কিন্তু তিনি কী কোন দায়িত্ব পেতে পারেন? তৃণমূল সূত্রে খবর, সে রকম কোনও স্পষ্ট আশ্বাস তাঁকে দেওয়া হয়নি। বিধাননগরের মেয়র এখন কৃষ্ণা চক্রবর্তী। সেই পদ সব্যসাচীকে ফেরানোর প্রশ্ন নেই। বিধানসভার কোনও খালি আসনও এখন নেই। হতে পারে তাঁকে দলে এনে ত্রিপুরা বা অসমে তৃণমূলের সংগঠনের দায়িত্ব দিতে পারে হাইকমান্ড।