যা বলেছি সত্য বলেছি, বিজেপির বিরোধী বক্তব্যে অনড় সব্যসাচী

নিউজ ডেস্ক : একুশের বিধানসভা ভোটে বাংলায় বিজেপির ভরাডুবি হওয়ার পর থেকে দলের নীতি এবং নেতাদের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়ে ওঠেন একাধিক বিজেপি নেতা। অনেকে দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দান করছেন বা যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে বিজেপির হেভিওয়েট নেতা সব্যসাচী দত্ত ও বেসুরো নেতাদের দল ভারী করছেন। তিনি দল বিরোধী মন্তব্য করার পরও সেই অবস্থানে অনড় রয়েছেন। উল্লেখ্য, প্রকাশ্যেই দলের নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সব্যসাচী দত্ত। সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হয় কারণ মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে বিজেপির কোনও মুখ ছিল না। মমতা ব্যানার্জি একজন লড়াকু, পরীক্ষিত মুখ। যাঁকে ভরসা করে বাংলার মানুষ ফের জিতিয়ে এনেছেন। আর বিজেপির ভিন রাজ্য থেকে আগত কেন্দ্রীয় নেতারা ভোট প্রচারে এসে যে ভাষায় কথাবার্তা বলেছেন, তা বাংলার মানুষ বুঝতে পারেনি। তাই এত প্রচার করেও হারতে হল বিজেপিকে।’

 

 

এহেন মন্তব্য তিনি হেস্টিংসে দলের বৈঠকেও বলতে শুরু করেন। কিন্তু রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ থামিয়ে দেন তাঁকে অন্য নেতাদের সুযোগ দেওয়ার জন্য। পরে সংবাদমাধ্যমের সামনেও একই কথা বলেন সব্যসাচী দত্ত। যা দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছে বলেই মত বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ একটি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটির দায়িত্বে আছেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার, রথীন্দ্রনাথ বসুর মতো নেতারা। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিতে সব্যসাচী দত্তর নামে অভিযোগও জমা পড়েছে। তবে এখনও সব্যসাচী দত্তের কাছে জবাব চাওয়া হয়নি। এ প্রসঙ্গে সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘আমি যা বলেছি, সেটাই সত্যি। এখনও বলছি ভিন রাজ্য থেকে আগত নেতাদের কথা বাংলার মানুষ বুঝতে পারেনি। মমতা ব্যানার্জির বিকল্প হিসেবে বিজেপি কাউকে তুলে ধরতে পারেনি।

সংগঠনেও গলদ ছিল। তাই তো বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে।’

 

 

প্রসঙ্গত, সব্যসাচী দত্ত ঘনিষ্ঠ মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে ফিরে গেলেন পুরনো দল তৃণমূলে। মুকুল রায়ের হাত ধরেই গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন সব্যসাচী দত্ত। বেসুরো সব্যসাচী দত্ত ফের মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলে ফিরবেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজীব ব্যানার্জি থেকে সব্যসাচী দত্তর তৃণমূলে ফেরা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন অনেকে। তবে তৃণমূল কংগ্রেস গাদ্দার দের ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া বার্তার পর কবে এই সব নেতারা ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন সেটা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।

Latest articles

Related articles