নিউজ ডেস্ক : অবাধ এবং সুষ্ঠ নির্বাচনের পথে শুধু ইভিএম নয় উঠে আরো বেশ কিছু সমস্যার কথা যা রীতিমতো উদ্বেগজনক। ভোট ব্যবস্থায় যতরকম ত্রুটি হচ্ছে তা শুধু গেরুয়া শিবিরকে কেন সাহায্য করছে এই প্রশ্ন উঠছে সবার মনে। রাজ্যে কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর ব্যাপক সংখ্যক উপস্থিতিতে নিরাপত্তার ঘেরা টোপে অনুষ্ঠিত নির্বাচন বাব্যস্থা এখন গেরুয়া মুখী বলে কটাক্ষ করছেন অনেক নেট নাগরিক। এর বেশ কিছু কারণ এখনো পর্যন্ত দেখা গিয়েছে। প্রথমত নির্বাচন কমিশনের হিসেব মতে ভোটের হার কোথা ও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধির পরিবর্তে হ্রাস পাচ্ছে। কোথাও দেখা যাচ্ছে ভোট যে প্রার্থীকেই দেওয়া হোক না কেন তা জুটছে বিজেপির প্রার্থীর কপালে। এই অভিযোগ বহু পুরনো। আজ তা আবারও দেখা গেল। আবার পশ্চিম মেডনিপুরের দাতনে দেখা গেল কর্তব্যরত সেক্টর অফিসার নিজে বিজেপির হয়ে প্রচার করছেন। এই সব অভিযোগের মাঝে রাজ্যের ৩০ টি আসনে ১৭১ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণের জন্য ভোট গ্রহণ চলছে।
ভোটের হার নিয়ে কমিশনের ভূমিকায় ক্ষোভ তৃণমূলের। কমিশনের হিসেব অনুযায়ী, কাঁথি দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে (২১৬) ও কাঁথি উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে(২১৩) সকাল ৯ টা ১৩ নাগাদ ভোটের হার যথাক্রমে ১৮.৪৭% এবং ১৮.৯৫% ছিল। ৪ মিনিট পরে ভোটদানের হার হ্রাস পেয়ে হয়েছে ১০.৬০% এবং ৯.৪০%-এ । এতে গরমিলের অভিযোগ তৃণমূলের। অভিযোগ নিয়ে আজই দিল্লি যাচ্ছেন ১০ সাংসদ। বিষয়টি সন্দেহজনক বলে মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
কাঁথির মাজনা কেন্দ্রে সকাল থেকেই ভোটাররা অভিযোগ করেছিলেন ইভিএম বিজেপিতে সব ভোট পাঠাচ্ছে বলে। সেখানে প্রায় ঘন্টা দেড়েক বন্ধ রাখা হয় ভোট গ্রহণ পর্ব তার পর আবার শুরু হয় ভোট দান। অন্য দিকে দাতনে অতনু মিশ্র নামক সেক্টর অফিসার বিজেপির হয়ে প্রচার করছে সকাল থেকে এই অভিযোগে কমিশনে নালিশ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বিক্রম প্রধান। সব মিলিয়ে বর্তমানে সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য আজ রাজ্যে প্রথম দফার ভোট গ্রহণের প্রথম কয়েক ঘণ্টার ভোট খুব ভালো খবর নিয়ে আসেনি। বরং ভোট ব্যবস্থা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে এবং নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে যেসব অভিযোগ আনা হচ্ছিল সেগুলোই আবার শোনা যাচ্ছে।