শান্তিনিকেতন সমস্যা আরও জটিল,হতে পারে বৃহত্তর আন্দোলন:জাতীয় বাংলা সম্মেলন

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG-20200827-WA0000

এনবিটিভি ডেস্ক: শান্তিনিকেতন নিয়ে ক্রমশ জটিল হচ্ছে বিতর্ক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বহিরাগত বলার কারনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে জোরাল হচ্ছে আন্দোলন। সেই সঙ্গে শান্তিনিকেতনে দেহ ব্যবসার মন্তব্য ঘিরেও ক্ষোভ জন্মেছে বহু মানুষের মনে। যার কারণে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ থেকে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে অপসারণের দাবিও উঠেছে।

করোনা আবহে জারি রয়েছে নানান বিধি। সেই কারনে প্রতিবাদ চলছে ভার্চুয়াল পথেই। একাধিক বাঙালি সংগঠন সামিল হয়েছ প্রতিবাদে। গণ-ইমেল করে জানানো হচ্ছে প্রতিবাদ।বাংলার ভূমিসন্তানদের অধিকার রক্ষার সংগঠন ‘জাতীয় বাংলা সম্মেলন’ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের কাছেই তাঁর পদত্যাগ চেয়ে গণ-ইমেল করেছে। সেই সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় লাগানো হয়েছে পোস্টার। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে একই দাবিতে গণ-ইমেল করেন তারা।

দিন কয়েক আগে শান্তিনিকেতনের মেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষ ঘটে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকেও কাঠগড়ায় তুলেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই নিয়েই বিশ্বভারতীর সরকারি ওয়েবসাইটে বিশেষ বার্তালাপ করেছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেখানে তিনি বলেন, “রবীন্দ্রনাথ নিজে বহিরাগত ছিলেন। তিনি যদি এই অঞ্চল পছন্দ না করতেন তবে বিশ্বভারতী এখানে বিকশিত হত না। এ ছাড়াও গুরুদেব, তাঁর সহকর্মীরা, যাঁরা বিশ্বভারতীকে জ্ঞান, সৃষ্টি এবং বিস্তারের কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার পথ প্রশস্ত করেছিলেন, তাঁরা সকলেই বোলপুরের বাইরে থেকে এসেছিলেন।”
উপাচার্যের ওই মন্তব্যকে ধিক্কার জানিয়েছে ‘জাতীয় বাংলা সম্মেলন’। সেই সঙ্গে পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়েছে ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে। যার মধ্যে রয়েছে শান্তিনিকেতন চত্বর থেকে জওয়ান প্রত্যাহার, মেলার মাঠে পাঁচিল দিয়ে পৌষ মেলা বা বসন্ত উৎসব বন্ধ করার প্রক্রিয়া স্থগিত করার মতো বিষয়। এছাড়া উপাচার্যের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, ‘রবি ঠাকুরের নিজের শান্তিনিকেতনে তাঁকেই “বহিরাগত” বলার অপরাধে ক্ষমা চেয়ে চিরতরে বিশ্বভারতী ছাড়তে হবে আপনাকে।’

একই সঙ্গে জাতীয় বাংলা সম্মেলনের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, ‘পৌষ মেলার মাঠে দেহ ব্যবসা হয়- এই ঘৃণ্য বক্তব্য থাকা প্রেস বিবৃতির জন্য আপনাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং উপাচার্যের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে।’ দাবি না মানা হলে গোটা বাংলা জুড়ে জনমত তৈরী করে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটতে বাধ্য হবে জাতীয় বাংলা সম্মেলন। তাদের কথায়, “শান্তিনিকেতনকে বাঁচানো প্রত্যেক বাঙালির কর্তব্য। আমরা সকলে ছাত্র-ছাত্রী ও রবীন্দ্রপ্রেমী মানুষদের সাথে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে আছে। আমরা শান্তিনিকেতনকে বাঁচাবই।”

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর