নিউজ ডেস্ক : মোদি সরকার সরকার বিরোধী যেকোনো ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে সর্বদা রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করে। তবে এবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে মোদি সরকারের সেই অভ্যাস পরিবর্তন হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
যদিও এ ক্ষেত্রে প্রেক্ষাপট ভিন্ন। দু’টি তেলুগু (Telugu) নিউজ চ্যানেল ‘টিভি ফাইভ’ এবং ‘এবিএন অন্ধ্রজ্যোতি’র বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনেছিল অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ। সোমবার সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ পুলিশের বিরুদ্ধেই গেল। সুপ্রিম কোর্টের তরফে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার ওপরই গুরুত্ব দেওয়া হল।
ওয়াইএসআর কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ কানুমুরি রঘু রামা কৃষ্ণা রাজুর ‘আপত্তিজনক বক্তৃতা’ সম্প্রচার করার জন্য এই দুই নিউজ চ্যানেলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করে অন্ধ্র পুলিশ। অভিযুক্ত নিউজ চ্যানেলগুলির পক্ষে আইনজীবী শ্যাম দিবান এবং সিদ্ধার্থ লুথরা আদালতে বলেন, পুলিশের এফআইআর বৈদ্যুতিন মাধ্যমের মুখবন্ধ করা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা লঙ্ঘন করার সামিল। চ্যানেল কর্তৃপক্ষ দাবি করে, একজন সাংসদের বক্তব্যের সম্প্রচার করা কখনও রাষ্ট্রদ্রোহিতা হতে পারে না।
বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় দুই পক্ষের সওয়াল শোনার পর বলেন, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সম্মান করা উচিত। সংবিধানের ১২৪ অনুসারে কোনো সংবাদমাধ্যমের নড়িধে রাষ্ট্র দ্রোহের মামলা দায়ের করার আগে বদ্যারত ব্যাখ্যা প্রয়োজন। পরবর্তী শুনানির আগে ওই দুই চ্যানেলের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিতে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।