নিউজ ডেস্ক : গত পাঁচ বছর ধরে আসামে রাজ্য সরকার চালাচ্ছে বিজেপি। কিন্তু পাঁচ বছরে বলার মতো তেমন কোনো উন্নয়নমূলক কাজ না করে ফের সাম্প্রদায়িকতার ওপর ভিত্তি করেই ক্ষমতা দখলের মরিয়া চেষ্টা বিজেপির। সাম্প্রদায়িকতা নির্ভর এই ভোট কৌশলের মূল হোতা মোদি। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকলেও গত লোকসভা নির্বাচনে উন্নয়নের কোন খতিয়ান দেখাতে পারেনি বিজেপি তাই শুধুমাত্র জয় শ্রীরাম এবং মুসলিম বিদ্বেষ ব্যবহার করেই নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়েছিল বিজেপি। এবার আসামেও উপায়ন্তর না দেখে একই পদ্ধতি ব্যবহার করে নির্বাচনে জয়লাভ করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। তাই গতকাল অমিত শাহ আসামের এক নির্বাচনী জনসভায় আসামি জনগণকে জিজ্ঞাসা করেন তারা আত্মনির্ভর আসাম চান নাকি মাওলানা নির্ভর।
স্বাভাবিকভাবেই অমিত শাহ মাওলানা বলতে অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সুপ্রিমো বদরুদ্দিন আজমল এর দিকে ইঙ্গিত করেছেন। কেন্দ্রে বর্তমানে মোদি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, রাহুল বাবা বদরুদ্দিন আজমল এর সঙ্গে মিলে আসামে মাওলানা নির্ভর সরকার গঠন করতে চাইছে। যা আসামের সংস্কৃতির জন্য খুবই ক্ষতিকারক কারণ তারা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সাহায্য করবেন। কিন্তু গত ৬ বছর বিএসএফ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকার পরও কেন আবার অনুপ্রবেশের অবাস্তব ঘৃণা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত বুলি বিজেপি নেতাদের মুখে, তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি নেট নাগরিকরা। অমিত শাহ বলেন, বিজেপি ২০৩৮ সালের মধ্যে গৌহাটিকে উত্তর পূর্ব ভারতের স্পোর্টস হাব এবং তথ্য ও সংস্কৃতির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে বিজেপি। বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহারে বহু প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে অমিত শাহ বলেন আমাদের অনেক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রয়েছে কিন্তু কংগ্রেসের তেমন কিছুই নেই। কিন্তু নেট নাগরিকরা প্রশ্ন তোলেন পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকা বিজেপিকে আবার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে কেন? নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি তো বিরোধীদের জন্য, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নয় গত পাঁচ বছরে উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে নির্বাচনে লড়াই প্রত্যেক রাজ্যের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল। যেহেতু বিজেপি দেখানোর মত কিছুই করেনি সে জন্যই তাদের শুধুমাত্র ফাঁকা বুলি ব্যবহার করতে হচ্ছে বলে মত অনেকের।