নিউজ ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া চলাকালীন বারবার বিভিন্ন ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। প্রায় প্রতিটা ক্ষেত্রেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং সংযুক্ত মোর্চার তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে রাজ্যের নির্বাচন কমিশন বিজেপিকে যথাসম্ভব সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আর এই অভিযোগ বজায় ছিল একেবারে নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হওয়া পর্যন্ত। ভোট গণনার একেবারে অন্তিম পর্যায়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী ঘোষণা করেও নির্বাচন কমিশন শুভেন্দু অধিকারীকে বিজয়ী বলে রায় দেয়। কমিশনের তরফ থেকে সার্ভারের ত্রুটির অজুহাতে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হোন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে আবারো পুনর্গণনার দাবি করে তিনি আদালতে যাবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। আজ একই রকম সুর খানিকটা শোনা গেল শুভেন্দুর গলাতে। তবে তিনি শুধুমাত্র নন্দীগ্রামে তার কেন্দ্রে ভোট পুনর্গণনার দাবি করেননি। তিনি বলেন বিজেপি হেরে গেলেও ১০০ টি আসন লাভ করত। তা সম্ভব হয়নি গণনায় ত্রুটির কারণে। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ বলে তিনি মন্তব্য করেন। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন এর প্রেক্ষাপটে এই প্রথম কোন বিজেপি নেতা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন। তিনি রাজ্যের সমস্ত ইভিএম আবার গণনা করার দাবি করেছেন।
সোমবার রাজ্য বিজেপি-র সদর দফতর মুরলিধর সেন লেনে দলীয় কর্মীদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে ধর্নায় বসেন দলীয় নেতারা। সেখানে শুভেন্দুর সঙ্গে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বপন দাশগুপ্ত-সহ নব নির্বাচিত বিধায়কদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। ওই মঞ্চ থেকেই শুভেন্দু বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট শান্তিপূর্ণ হলেও, গণনার নাম করে কমিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। অনেক গণনাকেন্দ্রে বিজেপি-র এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কারচুপি হয়েছে। তার ফলেই বিজেপি ১০০-র কম আসন পেয়েছে। সরকার গড়তে না পারলেও আমরা আরও অনেক বেশি আসন পেতাম।’’ তবে শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যে রীতিমতো হাসির ফোয়ারা ছুটছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কারণ 8 দফা নির্বাচনের প্রায় প্রত্যেক দফার পরেই শুভেন্দুর গলাতে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ঝরে পড়তে। তিনি বারবার দাবি করেছেন রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়তে চলেছে এবং ১০০ টিরও বেশি আসন লাভ করে। এখন তার দাবি কি করে ১০০ এর নিচে নেমে আসলো তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি নেট নাগরিকরা।