IPL এ জোর কদমে চলছিল ফিক্সিং, শুরু তদন্ত

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

WhatsApp Image 2021-05-04 at 12.33.59 PM

নিউজ ডেস্ক : বন্ধ হয়ে গিয়েছে আড়ম্বর পূর্ণ ক্রিকেট লীগ আইপিএল। তবে বাতিল হয়ে যাওয়া আইপিএলেই গড়াপেটা হচ্ছিল। বুধবার এমনই ভয়ঙ্কর খবর দিলেন বোর্ডের দুর্নীতি দমন শাখার প্রধান সাব্বির হুসেন শেখাদাম। এই বছর বেশ কিছু ম্যাচের ফল দেখে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করছিল ফিক্সিং এর ব্যাপারে। তাদের সন্দেহ যে আদৌ অমূলক নয় তা বোঝা যাচ্ছে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায়।

যে দিল্লি পর্বে আইপিএলের বায়ো বাবল ভেঙে পড়া নিয়ে উত্তাল ক্রিকেট বিশ্ব, সেই দিল্লির কোটালা স্টেডিয়ামেই হচ্ছিল স্পট ফিক্সিং। বল ধরে ধরে বেটিং চলছিল। খোদ স্টেডিয়ামের মধ্যে থেকেই। দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে বুকি প্রবেশ করল কীভাবে? জানা গিয়েছে, একজন ক্লিনারকে অর্থের লোভ দেখিয়ে বুকিরা নিয়োগ করেছিল। তবে একদম বেটিং করার সময়েই বামাল সমেত ধরা পড়ে যায় সেই ব্যক্তি। আইপিএল বন্ধ হওয়ার পরে চাঞ্চল্যকর এমন তথ্য ফাঁস করেছেন সাব্বির হুসেন।

সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে গুজরাত পুলিশের প্রাক্তন এই আধিকারিক জানিয়েছেন, একটি ম্যাচ চলার সময় স্টেডিয়ামের একটি নিরিবিলি জায়গায় দাঁড়িয়ে সম্প্রচার এবং লাইভ একশন চলার মাঝে গড়াপেটা করছিল ফোনে। সেই সময়েই দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকদের নজরে পড়েন তিনি। কী করছেন, জিজ্ঞাসা করলেই জবাব দেওয়া হয়, বান্ধবীর সঙ্গে সেই ব্যক্তি ফোনে কথা বলছিলেন। এরপরেই ফোন কেড়ে নিয়ে বিষয়টি বুঝতে পারেন আধিকারিকরা। তবে ফোন আধিকারিকরা নিয়ে নেওয়ার সময়েই চম্পট দেন সেই ব্যক্তি।

তবে কোন ম্যাচের সময় এমন ঘটনা ঘটেছিল তা বোর্ডের তরফে জানানো হয়নি। ঘটনার পরেই এন্টি করাপশন ইউনিটের পক্ষ থেকে দিল্লি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। মে মাসের ২ তারিখে রাজস্থান রয়্যালস বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচ চলাকালীন দিল্লি পুলিশের তরফে ভুয়ো পরিচয়পত্র নিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করা দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের আগেও দুই ব্যক্তি দু-বার স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

বোর্ডের দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা বলছেন, গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যক্তি ‘ছোট মাছ’। হয়ত কয়েক হাজার টাকার বিনিময়ে স্টেডিয়াম থেকে সরবরাহ করছিল তাঁরা। তবে ‘গভীর জলের মাছ’দের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

এছাড়া আরো জানানো হয়েছে, মুম্বই লেগের সময় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ যে হোটেলে ছিল, সেই হোটেলের বেশ কয়েকটি রুমে সন্দেহভাজন কয়েক ব্যক্তি ছিল। যাঁদের ডেটাবেস রয়েছে করাপশন ইউনিটের কাছে। তবে সেই ব্যক্তিরা ক্রিকেটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেনি।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর