সিংড়ার দেশী গাভীতে কৃত্রিম বীজ ব্যবহারে উন্নত জাতের বাছুরে লাভবান হচ্ছেন ক্ষুদে খামারীরা

সৌরভ সোহরাব,সিংড়া(নাটোর) প্রতিনিধিঃ

 

নাটোরের সিংড়ার গ্রামাঞ্চলে দেশী গাভীর উপর কৃতিম বীজ ব্যবহারে উন্নত জাতের বাছুর পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষক। এতে পারিবারিক ভাবে গড়ে উঠছে ক্ষুদে খামার। অনেক বেকার যুবকরাও এগিয়ে আসছেন এই খামার ব্যবসায়। উপজেলার চলনবিল অধ্যুষিত অজোঁ পাড়া গাঁও ডাহিয়া,ইটালী,শুকাশ সহ প্রায় প্রািতটি ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে গড়ে উঠা এসকল ক্ষুদে খামারীদের সাথে কথা বলে এসব জানা গেছে।

 

আজ থেকে ১০ বছর আগে মাত্র দুটো গাভী নিয়ে ডাহিয়া ঘোষ পাড়ার গণেষ ঘোষ শুরু করেছিলেন ক্ষুদে খামার। দেশী গাভীতে উন্নত জাতের কৃত্রিম বীজ ব্যবহার করে সিন্ধি,শাহিওয়াল,বাহামা নামের উন্নত জাতের বাছুর বড় করেন এই খামারে। তার বর্তমান এই খামারে ৩টি উনতœ জাতের বাছুর ও ৪টি গাভী সহ মোট ৮টি গরু আছে। প্রতি বছর তিনি গড়ে দুটি বড় বাছুর বিক্রয় করেন। এতে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা আয় হয় তার। ডাহিয়ার এই ঘোষ পাড়াতেই খামারী ব্যবসায় এগিয়ে এসেছেন সন্তেষ কুমার নামে এক কৃষক। সনেÍষ কুমার জানান,বাপ দাদার আমল থেকেই আমরা গরু পালন করে আসছি। কিন্তু সেই আমলের নিয়ম কানুনে তেমন লাভবান হতে পারি নাই। গত দু বছর থেকে এই খামারী নিয়মে এসেছি। এতে লাভবান হচ্ছি। আমার খামারে এখন ২টি উনত জাতের বাছুর আছে। ডাহিয়া পুকুর পাড়া গ্রামে মোক্তার হোসেন আগে খড় পলের ব্যবসা করতেন। খড় পলের ব্যবসা ছেড়ে তিনিও শুরু করেছেন খামারী ব্যবসা। উপজেলার বিয়াশ গ্রামের আব্দুল মতিন দুলাল একজন সফল মাছ চাষী। ১৯৯২ সালে প্রথম মাছ চাষ শুরু করেন তিনি। মাছ চাষে একজন সফল ও স্বাবলম্বী ব্যক্তি হিসাবে এলাকায় পরিচিতি এই আব্দুল মতিন দুলাল। মাছ চাষের পাশা পাশি তিনিও শুরু করেছেন ক্ষুদে খামারী। আব্দুল মতিন দুলাল বলেন, আমি যখন এই এলাকায় প্রথম মাছ চাষ শুর করি আমার দেখাদেখি অনেক বেকার যুবক মাছ চাষে এগিয়ে আসেন এবং স্বাবলম্বী হন। আমি মাছ চাষের পাশাপাশি গরু খামারে এইজন্য এসেছি যে মাছ চাষে বেকার দুর হবে না। কারন দেশে যত বেকার আছে সেই তুলনায় মাছ চাষের পুকুরের সংখ্যা খুবই কম। আমার খামারে দেশী গরু থেকে পাওয়া উন্নত জাতের ৩টি বাছুর আছে।

 

এই এলাকার পল্লী চিকিৎসক আব্দুল খালেক বলেন, মানুষ আগে দেশী এঁড়ে গরু ব্যবহার করতো। ২০১৩ সাল থেকে আমি প্রথম এই অঞ্চলে দেশী গাভীতে উন্নত জাতের কৃত্রিম বীজ দেওয়া শুরু করি। এতে উন্নত জাতের বাছুর পেয়ে এখানে প্রায় শতাধিক পারিপারিক ক্ষুদে খামার গড়ে উঠেছে। অনেক বেকার যুবকরাও ধীরে ধীরে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

 

 

Latest articles

Related articles