বাসন্তীতে ইয়াস-আম্ফানে বিধ্বস্ত আদিবাসী পরিবারের ছেলেমেয়েদের হাতে দুর্গাপুজোতে নতুন পোশাক তুলে দিলেন সমাজকর্মী লোকমান মোল্লা

বাসন্তী: করোনা, লকডাউন ,আম্ফান ও ইয়াস পরবর্তী পর্যায়ে এবং অতি বর্ষণের ফলে কাজ হারিয়েছেন আদিবাসী পরিবারগুলির পুরুষরা। ফলে  কাজের সন্ধানে রাজ্যের বাইরে চলে গিয়েছে তারা। এই পরিস্থিতিতে শারদ উৎসবের সময় আদিবাসী পরিবারের ছেলেমেয়েদের কাছে দুঃস্বপ্ন বললে ভুল হবে না। কারণ দুর্গাপূজা মানে ছেলে-মেয়েদের নতুন পোশাক পরে আনন্দ-উৎসবে মেতে ওঠা। কিন্তু সেটাই এবার বিষাদে পরিনত হচ্ছিল। চলতি বছর কুলতলির আদিবাসী পাড়ায় দূর্গা পূজার ঢাক বাজলেও ছেলেমেয়েদের মুখে হাসি ছিল না। তাই রবিবার শুভ পঞ্চমীর দিনে বিশিষ্ট সমাজকর্মী লোকমান মোল্লা নিজ উদ্যোগে কুলতলী আদিবাসী পাড়ার ছেলে মেয়েদের নতুন পোশাকের ব্যবস্থা করলেন এবং তাদের মুখে হাসি ফোটালেন। এ যেন এক সম্প্রীতির বার্তা দিলেন তিনি।

জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজো উপলক্ষে প্রায় ১০০ ছেলেমেয়েকে নতুন পোশাক দেওয়া হয়েছে লোকমানের সংস্থা কুলতলি মিলনতীর্থ সোসাইটির তরফে। ২০০৯ সালে ‘আয়লা’-র সময় থেকে বিপদগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য করে চলেছে এই সংস্থা।

লোকমান মোল্লা বলেন, সুন্দরবনের মানুষ যখন বিপদগ্রস্ত হয়েছে, তখনই আমার সংস্থা কুলতলী মিলন তীর্থ সোসাইটিকে সঙ্গে নিয়ে আমি তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। এই ঘটনা নতুন নয়, ২০০৯ সালের আয়লা থেকে শুরু করে আজ অবধি যখনই সুন্দরবনবাসি বিপদগ্রস্ত হয়েছে, তখনই আমি তাদের পরিবারের একজন হিসেবে তাদের পাশেই থেকেছি। আজও আছি ,ভবিষ্যতেও তাদের সুখ -দুঃখের সাথী হিসেবে থাকবো। আজ ছেলে মেয়েদের নতুন পোশাক দিতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। কারণ পুজোয় অন্য ছেলে মেয়েরা যখন নতুন পোশাক পরে যাবে, তখন এদের মন খুব খারাপ থাকবে। ঘরে অভিভাবক নেই খুবই যন্ত্রণাদায়ক ব্যাপার। কাজের সন্ধানে রাজ্যের বাইরে গেছে তারা। চেষ্টা করলাম অসহায় মানুষ গুলির পাশে দাঁড়াতে আজ শুভ পঞ্চমী দিনে ১০০ পরিবারের ছেলেমেয়েদের নতুন জামা কাপড় তুলে দেওয়া হল।

কুলতলী আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা সঞ্জয় সরদার বলেন,  লোকমান মোল্লা সবসময় অসহায় মানুষের পাশে থেকেছে। আজ নতুন নয়,  আমরা খুশি আমাদের ছেলেমেয়েরা খুব আনন্দিত। এই সময়কালে দাঁড়িয়ে লোকমান মোল্লা যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়ালেন তা এক নতুন দৃষ্টান্ত বলা যেতে পারে।

Latest articles

Related articles