নিউজ ডেস্ক : রোহিঙ্গা হত্যার দায়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আদালত এবং ফোরামে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে সু চিকে। কিন্তু কোথাও সেইভাবে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়নি তাকে। কিন্তু এবার সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি’র বিচার আগামী সপ্তাহে শুরু হতে যাচ্ছে। সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন তার আইনজীবী। জানা গেছে, সু চি’র বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে সু চির ১৪ বছরের জেল হতে পারে। এদিকে সব রাজবন্দিকে মুক্তি দিতে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আসিয়ান।
এ বছর ১লা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে নির্বাচিত সু চি সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে জান্তা সরকার। বন্দি করা হয় দেশটির নেত্রী অং সান সু চিসহ তার দলের শীর্ষ নেতাদের। এরপর সু চি’র বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগে মামলা করে সামরিক সরকার।
কয়েকমাস পর সেই মামলার বিচার কাজ শুরু হচ্ছে। সোমবার রাজধানী নাইপিদোতে গৃহবন্দি সু চি’র সঙ্গে সাক্ষাতের পর তার আইনজীবী খিন মং জাও বলেন, আগামী ১৪ ও ১৫ জুন তার বিরুদ্ধে আনিত সব মামলার বিচার কাজ শুরু হবে।
খিন মং জাও বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ চলতি মাসেই মামলাটি শেষ করতে চায়। আমাদের পক্ষ থেকেও দ্রুতই মামলা শেষ করতে বলা হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে প্রতি সোমবার ও মঙ্গলবার করে বিচারকাজ চলবে।
সুচির বিরুদ্ধে ব্রিটিশ আমলের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ভঙ্গের গুরতর অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া ঘুষ গ্রহণের অভিযোগেও মামলা করা হয়েছে। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৭৫ বছর বয়সী সুচিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হতে পারে।
সূত্র : বিবিসি