মঙ্গলবার সকালে কলকাতায় প্রয়াত কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথ

এনবিটিভি ডেস্কঃ  মঙ্গলবার সকালে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে দেহত্যাগ করেন কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথ। মৃত্যুকালীন তাঁর বয়স ছিল ৯৮ বছর। কার্টুনিস্ট দেবনাথ ২০২১ সালে ভারতের চতুর্থ-সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরষ্কার পদ্মশ্রীতে ভূষিত হয়েছিলেন। গত সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গের একজন মন্ত্রী চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে এই পুরস্কারটি তুলে দেন। এর আগে তিনি ২০১৩ সালে বঙ্গবিভূষণ ও সাহিত্য অকাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হন।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল থেকেই হৃদ্‌যন্ত্রে সমস্যা হচ্ছিল প্রবীণ এই কার্টুন শিল্পীর। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। তাঁর রক্তচাপ ওঠানামা করছিল। সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু চিকিৎসায় সাড়া দেননি নারায়ণ দেবনাথ। কষ্ট হচ্ছিল শ্বাস নিতেও। এই সময় তাঁর বাড়ির লোকজনকে খবর দেওয়া হয় বলে খবর হাসপাতাল সূত্রে।

নারায়ণ দেবনাথের অমর সৃষ্টি  গুলির মধ্যে ‘বাটুল দি গ্রেট’, ‘হাঁদা ভোঁদা’, ‘নন্টে ফন্টে’, ‘বাহাদুর বেড়াল প্রভৃতি। তাঁর এই অমর সৃষ্টির মাধ্যমে বাচ্চা থেকে বড়দের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। কখনও তাঁর লেখা বই পড়ে কিংবা বর্তমান ইন্টারনেট যুগে ইউটুবে লেখনীর কার্টুনের মাধ্যমে দিনদিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।

মঙ্গলবার নারায়ণ দেবনাথের ছেলে তাপস দেবনাথ বলেন, “কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যা নিয়ে ২৪ ডিসেম্বর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু এ বার আর তাঁকে বাড়ি ফেরা হল না বাঙালির কিশোরবেলার সঙ্গী নারায়ণ দেবনাথের। নারায়ণ দেবনাথ দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।  

১৯২৫ সালে হাওড়ার শিবপুরে জন্ম নারায়ণ দেবনাথের। তাঁর অল্প বয়স থেকেই শিল্পের প্রতি তাঁর ঝোঁক ছিল দেখার মতো। ফলে শুরু থেকেই গয়নার নকশা তৈরি করতেন নারায়ণ দেবনাথ। স্কুলের পাঠ চুকিয়ে তিনি আর্ট কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতার পর  বন্ধ হয়ে যায় আর্ট কলেজে পড়া। তার পর কয়েকটি বিজ্ঞাপন সংস্থার হয়ে কাজ  করা শুরু করেন।

Latest articles

Related articles