দেশের ১৩৩ কোটি মানুষের একদিনের জন্যই দেশের প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা জেগে ওঠে। সেটি হল স্বাধীনতা দিবস। এই একটি দিন চলে গেলেই জাতীয় পতাকা লুটোপুটি খায় মাটিতে। আর যে পতাকা আজ স্বাধীন ভারতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেই তিরঙ্গার এহেন অবমাননা রুখতে কঠোর পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। স্বাধীনতা দিবসের আগেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলিকে জানানো হয়েছে, প্লাস্টিকের তৈরি ছোট জাতীয় পতাকা যাতে ব্যবহার না করা হয়, সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে হবে।
স্কুলের অনুষ্ঠান বা পথচলতি গাড়িতে অনেক সময় প্লাস্টিকের তৈরি তিরঙ্গা স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ব্যবহার করা হয়।
এই পতাকা যাতে আর ব্যবহার করা না হয়। কারণ এই পতাকা পরের দিনে ঠাঁই হয় রাস্তার ধারে ডাস্টবিনে। আর সেই তিরঙ্গা প্লাস্টিকের তৈরি হওয়ায় সহজে নষ্ট হয় না। যা দূষণ ঘটায়, নিকাশি নালার আটকে যায়। বৃষ্টিতে জল জমে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়। আর এই সমস্যা সমাধানের জন্য কেন্দ্রের তরফ থেকে এই নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে যে, দেশবাসীর কাছে আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক এই জাতীয় পতাকা। তাই এটিকে সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া উচিত। সকলেই জাতীয় পতাকার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলেও, জাতীয় পতাকা বহন বা প্রদর্শনী সাধারণ মানুষের থেকে প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সচেতনতার অভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। কাগজের তৈরি জাতীয় পতাকার বদলে যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের প্লাস্টিকের তৈরি পতাকা ব্যবহার করা হয়। আর প্লাস্টিকের তৈরি পতাকার সহজে নষ্ট হয় না। যা পরবর্তীতে সমস্যা সৃষ্টি করে।
তাই সঠিক পদ্ধতি ও নিয়ম মেনে যাতে জাতীয় পতাকাকে ব্যবহার এবং সংরক্ষণ করা হয় তার দিকে নজর দেওয়া হোক। ফ্ল্যাগ কোড অফ ইন্ডিয়া ২০০২ মেনে কাগজের জাতীয় পতাকা ব্যবহার করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে পতাকা মাটিতে ফেলা যেন না হয়, বা ছিঁড়ে ফেলা হয় না। সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য দায়িত্ব প্রত্যেকটি রাজ্যের।