তালেবানের অভ্যুত্থানের কারণে আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া অনিশ্চিত হয়ে গেছে।আফগানিস্তানের একের পর এক এলাকা দখল করে নিচ্ছে তালিবান। কান্দাহার, গজনি দখলের পর রাজধানী কাবুলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তালেবান। তালিবানের আগ্রাসনে অনিশ্চিত হয়ে গেছে রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবিদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো খবর দিয়েছে, তালিবানরা ইতোমধ্যে আফগানিস্তানের কান্দাহার ও গজনির মতো বড় বড় শহর, ১০টির বেশি প্রাদেশিক রাজধানীর দখল নিয়েছে। সর্বশেষ খবরে বলা হয়েছে, তালিবানরা বর্তমানে রাজধানী কাবুল থেকে মাত্র ১১ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে দেশটির পরিস্থিতি অনিশ্চয়তার দিকে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।
জানা যায়, আফগানিস্তানে প্রধান ৬টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম রয়েছে। এর মধ্যে ৩টি স্টেডিয়ামের দখল ইতোমধ্যে নিয়ে নিয়েছে তালিবানরা। অথচ আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপলক্ষে আফগানিস্তান দলের নিয়মিত অনুশীলনে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কারণ আসছে অক্টোবরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
কিন্তু তালিবানরা একদিকে স্টেডিয়ামের দখল নিয়েছে, অন্যদিকে দেশটির বর্তমান বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই রশিদ খান-মোহাম্মদ নবিদের অনুশলীন করা এক প্রকার অসম্ভব হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আফগানিস্তান দলের অংশ গ্রহণ করা নিয়ে তীব্র আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
দেশের অস্থির অবস্থা দেখে দুদিন আগেই ক্রিকেটার রশিদ খান সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্ব নেতাদের কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছিলেন। অলরাউন্ডার মহম্মদ নবিও ট্যুইট করেন দেশের এমন পরিস্থিতি নিয়ে।
তালিবানদের অভিযানের কারণে কাবুল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম আপাতত বন্ধ। শুধুমাত্র জালালাবাদের গাজি আমানুল্লা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম এখনও আফগান সরকারের দখলে আছে। তালিবানরা কাবুল দখল করলে সেই স্টেডিয়ামও হাতছাড়া হয়ে যাবে। দেশটির বেশিরভাগ ক্রিকেটার কাবুলের স্টেডিয়ামেই অনুশীলন করেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে অনুশীলন তো দুরের কথা, ক্রিকেটাররা নিজেদের ও পরিবারের জীবন রক্ষায় ব্যস্ত। কবে থেকে প্রস্তুতি শুরু হবে, তা কেউ জানে না।