সাইফুদ্দিন মল্লিক : পুলিশি অত্যাচার মাদ্রাসার শিক্ষকদের উপর। আজ থেকে ওয়েস্ট বেঙ্গল রেকগনাইজ্ড আন এডেড মাদ্রাসা টিচার্স অ্যসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। অবস্থান কর্মসূচির জন্য আর্মির পারমিশন নেওয়া হয়েছে। পারমিশন কপি লালবাজারে জমা দিতে গেলে লালবাজার তা প্রত্যাখ্যান করে। অংশগ্রহণকারী শিক্ষকদের অকুস্থলে পৌঁছানোর সাথে সাথেই পুলিশের তরফ থেকে বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে। এর আগেও এমত আন্দোলনে পারমিশন থাকা সত্ত্বেও পুলিশ বাধা সৃষ্টি করেছে এমন উদাহরণও রয়েছে।
অবস্থান বিক্ষোভের নির্দিষ্ট দাবী। পূর্ব ঘোষণা মতো আজ গান্ধীমূর্তির কাছাকাছি আসার সঙ্গে সঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ করে এবং কিছু ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যায়।
কর্মসূচির দাবিদাওয়া গুলি হলো: –
১ -রাজ্য সরকার কর্তৃক পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনুমোদিত ২৩৫টি আন-এডেড মাদ্রাসায় দীর্ঘ ৯ বছর অনধিক ৪০ হাজার ছাত্রছাত্রীর মিড-ডে-মিল সহ সকল সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। অবিলম্বে এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২ – এই সকল সরকার অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ নয় বছর ধরে স্বেচ্ছাশ্রম দেওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকারা বেতনহীন। তাদের বেতনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩ – মুখ্যমন্ত্রী ১০ হাজার মাদ্রাসা স্কুলকে অনুমোদন দিবে বলেছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতির কিছু বাস্তবে পূর্ন করা।
সিপিআই(এম) পলিটব্যুরো সদস্য মহঃ সেলিম তাঁদের দাবীর প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। ওয়েস্ট বেঙ্গল রেকগনাইজ্ড আন এডেড মাদ্রাসা টিচার্স অ্যসোসিয়েশনের এই অবস্থান কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়েছেন। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আন-এডেড মাদ্রাসা শিক্ষায় বঞ্চনামূলক আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি।