
উত্তরপ্রদেশের হারদই জেলার মল্লাওন এলাকায় সম্প্রতি পুরনো একটি মুসলিম কবরস্থান ভেঙে দেওয়ার পর চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রশাসনের দাবি, কবরস্থানের জমি একটি হিন্দু ধর্মীয় স্থানের অংশ — এই দাবির ভিত্তিতে কবরস্থান চিহ্ন ও সীমানা ঘেরা দেয়াল তুলে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে অত্যন্ত কষ্টদায়ক ও পক্ষপাতদুষ্ট পদক্ষেপ বলে মনে করছে এলাকার বাসিন্দারা।
নেওয়াদা পারাস গ্রামে অবস্থিত ওই জায়গায় স্থানীয় মুসলিমরা প্রায় ১৫ বছর ধরে মৃতদের দাফন করতেন। তাদের দাবি, গ্রামপ্রধানের মৌখিক অনুমতিতেই এই জমি কবরস্থান হিসেবে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু সম্প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু ব্যক্তি অভিযোগ করেন, জমিটি “লালটা বাবা দেবস্থান”-এর অন্তর্গত, এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা তা দখল করেছে।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে এসডিএম পুনম ভাস্করের নির্দেশে কবরস্থানের বোর্ড ও বেড়া তুলে দেওয়া হয়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ ও রাজস্ব বিভাগের আধিকারিকরা। তারা জানান, জমিটি সরকারি খাসজমি এবং কবরস্থানের কোনো সরকারি অনুমোদন নেই।

তবে স্থানীয় মুসলিমরা এই দাবি মানতে নারাজ।এলাকার এক স্থানীয় জানান, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এখানে মৃতদেহ দাফন করতাম। এখন হঠাৎ করে বলা হচ্ছে, এটা আমাদের জমি নয়। মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগাহ সবকিছুর পর এখন কবরস্থানও আমাদের ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে।”