রাজ্য বাজেট ২০২২-২৩ পেশে কেন্দ্রের বঞ্চনায় সোচ্চার মমতা, পাল্টা খোঁচা শুভেন্দুর

 এনবিটিভি ডেস্কঃ  দেশের অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থার মধ্যেই আজ শুক্রবার রাজ্য বাজেট ২০২২-২৩ পেশ করছেন রাজ্যের প্রথম মহিলা অর্থমন্ত্রীর চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এই মুহূর্তে রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আগেও সোচ্চার হয়েছে রাজ্য সরকার। এই নিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে একাধিকবার কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে আক্রমণ করতে শোনা গিয়েছে।

 আজ বাজেটে পাশের পরেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় শোনা গেল কেন্দ্রের বঞ্চনার সুর। পাল্টা শুভেন্দু বলেন, কেন্দ্রের প্রকল্পের নাম ভাঙিয়ে খাচ্ছে, আবার বড়-বড় কথা। কেন্দ্রের দেওয়া টাকা গুলো কি নিজেরা ভাগ করে নিচ্ছে?

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বাজেট পেশের পর রাজ্য বাজেটে নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “উন্নয়নশীল সরকারের যা গর্বের মতো বিষয় সেই কৃষি ক্ষেত্রে বরাদ্দ বেড়েছে যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বাড়ানো হয়েছে দ্বিগুণ বাজেট বরাদ্দ। পাশাপাশি উচ্চশিক্ষায় ২৫.২, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ১৯.৪ গুণ বরাদ্দ বেড়েছে।

মমতা বলেন, “কৃষিতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে চলতি বাজেটে। ৩৩.২ গুণ বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে এই খাতে। ৭৮ লক্ষ কৃষককে সহায়তা দিচ্ছে রাজ্য। আগামী দিনে আবাসন আরও বাড়ানো হবে।  গতবারের বাজেট ছিল ৩, ০৮, ৭২৭ কোটি। চলতি অর্থবর্ষে তা বাড়িয়ে হয়েছে, ৩,২১,৩০ কোটি।” মুখ্যমন্ত্রী বাজেটের প্রশংসার পাশাপাশি এদিন জোরালো সমালোচনা করেন কেন্দ্রের বকেয়া টাকার প্রসঙ্গেও।

তিনি বলেন, “আমরা ৯০ হাজার কোটি কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে পাই। ওরা জিএসটি’র টাকা, আয়করের টাকা তুলে নিয়ে যায়। কেন্দ্রের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আছে। ওরা মাছের তেলে মাছ ভাজে। আর কেন্দ্র নাম রেখে বড়বড় চিঠি পাঠায়। আমফান ত্রাণ বাবদ ৩২৩১০ কোটি এবং ইয়াস-এর জন্য ৪২২২ কোটি পাই।

এদিন বাজেট শেষে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বাজেটকে নিন্দা করে বলেন, “ এই বাজেটে কোন নতুন প্রকল্প নেই, কেননা চলতি বছরে সেই অর্থে রাজ্যে ভোট নেই। যখন ভোট আসবে তখন প্রতিশ্রুতির বর্ণা ঝরবে, যদিও তা বাস্তবায়ন হয়না। ইয়াস-ঝড়ের সময় রাজ্যেকে ৫০০ কোটি টাকা দিলে তা গোপনে কড়ায় গণ্ডায় মিটিং করে ভাগ করে নিয়ে এখন কেন্দ্রকে দোষ চাপাচ্ছে। এই বাজেট সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক বিবৃতি।

সাধারণ মানুষ এই বাজেট থেকে কিছুই মিলবেনা কটাক্ষর সুরে রাজ্যকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, এই বাজেটে শিল্পের কোন দিশা নাই, জমি নীতি নাই। রাজ্যের সবচেয়ে বড়ো সমস্যা বেকারত্ব তা দূরীকরণের জন্য সরকারের কোন প্রকার হেলদোল নাই।”

 আজকের রাজ্যের বাজেটে সাধারণ মানুষের কোন কাজে আসবেনা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। দিন দিন যে হারে জিনিষপত্রের দাম বাড়ছে তা সাধারণ মানুষের জন্য কঠিন হয়ে পড়ছে।

Latest articles

Related articles