এবার খোদ শুভেন্দু অধিকারীর গড় পূর্ব মেদিনীপুরে হানা রাজ্য যুব তৃনমূলের সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সম্ভাব্য আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথিতে জনসভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি থেকে মাত্র কিছুটা দূরে অভিষেকের এই জনসভা বিশেষ রাজনৈতিক তাৎপর্য পূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আগামী ৬ফেব্রুয়ারি কাঁথির কলেজ মাঠে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা করবেন বলে জানিয়েছেন জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর মামুদ হোসেন। একসময় তৃণমূলের হয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে প্রথম সারিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন বর্তমান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই শুভেন্দু অধিকারী এখন বিজেপিতে।
শুভেন্দু বিজেপিতে যোগদান করার পর প্রায় প্রত্যেকটি জনসভা মঞ্চ থেকে আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাল্টা বিভিন্ন মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু অধিকারীকে।
শুভেন্দুর ‘তোলাবাজ ভাইপো’ বলার জবাবও দিয়েছেন তিনি। এরইমধ্যে শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করে গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও ফেব্রুয়ারীতে নন্দীগ্রামে প্রচার করতে আসতে পারেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
তবে তার আগে শুভেন্দুর গড কাঁথিতে দাঁড়িয়ে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে জনসভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে তার প্রস্তুতিও তুঙ্গে।
সোমবার দিনভর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি, জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর মাহমুদ হোসেন সহ অন্যান্যরা। তৃণমূল সূত্রের খবর, সম্ভাব্য আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি কাঁথির প্রভাত কুমার কলেজ মাঠে জনসভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, “সম্ভাব্য ৬ ফেব্রুয়ারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কাঁথির কোন এক মাঠে জনসভা করবেন। আগে শুভেন্দু অধিকারী জেলায় সভা করতেন বলে তিনি কাউকে জেলায় ঢুকতে দিতেন না। উনি টাকা কামানোর জন্য জেলাটা লিজে নিয়েছিলেন। টাকা কামানো হয়ে গিয়েছে তাই চলে গিয়েছেন।”
যদিও আসন্ন বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে তৃণমূল এখন থেকেই ঘর গোছাতে নামছে। সেই লক্ষ্যেই রাজ্য থেকে ব্লক স্তর পর্যন্ত ঢেলে সাজানো হয়েছে সংগঠন। ঢেলে সাজানো হয়েছে যুব সংগঠনও।
তারমধ্যেই অনেক তাবড় তাবড় নেতা দল ছেড়েছেন। পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে চাঙ্গা করতে জেলায় জেলায় এই জনসভার আয়োজন করছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।